প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার, সাংবাদিক শামসুজ্জামানের মুক্তি ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে গণঅধিকার পরিষদ।

বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ কর্মসূচি পালন করে সংগঠনটি।

মানববন্ধনে দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খান বলেন, স্বাধীনতা মানে কি শুধু একটি পতাকা, একটি মানচিত্র আর একটি ভূখণ্ড? পাকিস্তান আমলেও সাংবাদিকরা লিখতে পারতেন, কিন্তু আওয়ামী লীগের আমলে লিখতে পারেন না। সাংবাদিক শামসুজ্জামানের কী অপরাধ যে তাকে ভোর রাতে বাড়ি থেকে তুলে আনতে হবে? বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদদের কণ্ঠ রুদ্ধ করা হচ্ছে। সাংবাদিক ভাইদের বলতে চাই, আপনারা ভয় পাবেন না। আপনারা কলমের লড়াই চালান, আমরা রাজপথে লড়াই করছি। দ্বিমুখী লড়াইয়ের মাধ্যমে এই ফ্যাসিবাদ হাত থেকে জাতিকে রক্ষা করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আসলেই কি আমরা স্বাধীন? আমাদের কথা বলার স্বাধীনতা নেই, লেখার স্বাধীনতা নেই,  সভা সমাবেশের স্বাধীনতা নেই। এটা কি স্বাধীন রাষ্ট্রের উদাহরণ হতে পারে? বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, আমার দেশের মানুষ পেট ভরে ভাত না পেলে এই স্বাধীনতা ব্যর্থ হয়ে যাবে, মা-বোনেরা কাপড় না পেলে স্বাধীনতা পূর্ণ হবে না, যুবকদের কর্মসংস্থান না হলে স্বাধীনতা পূর্ণ হবে না। তাহলে আজকে কেন আমরা বলতে পারছি না, ‘এই স্বাধীনতা দিয়ে কি করুম? সংসার চালাতে ঘাম ঝরে যায়। আমাগো মাছ, মাংস ও চাইলের স্বাধীনতা লাগব!’

রাশেদ খান আরও বলেন, আমরা অনতিবিলম্বে শামসুজ্জামানের মুক্তি এবং প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে করা মামলার প্রত্যাহার চাই। সাগর রুনী হত্যার বিচার সরকার কেন করে না? এতো এতো সাংবাদিক কেন গুম হয়, জেলে যেতে হয়, মামলা কেন হয়? ফ্যাসিবাদ সরকার ক্ষমতায় থাকলে কারও বাঁচার স্বাধীনতা থাকবে না। সুতরাং রাজপথে নামুন। গণআন্দোলনের মাধ্যমেই এই সরকারের বিদায় ঘটাতে হবে। আগামীতে ১৪ ও ১৮ মার্কা নির্বাচন আর হতে দেওয়া হবে না।

গণঅধিকার পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক কৃষিবিদ মো. শহিদুল ইসলাম ফাহিমের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন, গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হাসান, বিপ্লব কুমার পোদ্দার, সাদ্দাম হোসেন, শাকিল উজ্জামান, যুগ্ম সদস্য-সচিব তারেক রহমান আতাউল্লাহ, আব্দুজ জাহের, জিলু খান, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ, সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসান, ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদিব প্রমুখ।

এইচআর/এসকেডি