বাংলা নববর্ষ-১৪৩০ উপলক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। তিনি সবার সুখ, শান্তি, আনন্দ, সমৃদ্ধি ও অনাবিল মঙ্গল কামনা করেন।

বুধবার (১২ এপ্রিল) এক শুভেচ্ছা বাণীতে উপাচার্য বলেন, বাঙালি সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ ও চিরন্তন প্রাণের উৎসব পয়লা বৈশাখ। আবহমান কাল থেকে বাঙালি জাতি নিজস্ব ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, রীতি-নীতি ও বর্ণাঢ্য আয়োজনের মাধ্যমে পয়লা বৈশাখ উদযাপন করে আসছে।

তিনি বলেন, বাংলা নববর্ষের উৎসব সর্বজনীন। এর সঙ্গে বাংলাদেশের সব ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। পয়লা বৈশাখ সকল ধর্ম, বর্ণ, শ্রেণি, পেশা ও বয়সের মানুষের মাঝে নতুন প্রাণের সঞ্চার ঘটায়। নববর্ষের প্রেরণায় বাঙালির মাঝে উদার মানবিক মূল্যবোধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনা নতুনভাবে জাগ্রত হয়। এছাড়া মানুষে মানুষে গড়ে ওঠে সাম্য, সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি।

উপাচার্য আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, অতীতের গ্লানি, দুঃখ মুছে অসুন্দর ও অশুভকে পেছনে ফেলে নতুন কেতন উড়িয়ে বাংলা নববর্ষ-১৪৩০ সবার জীবনে আরও সমৃদ্ধি বয়ে আনবে। তথ্য-প্রযুক্তি ও জ্ঞান নির্ভর ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিসহ সব ক্ষেত্রে নতুন নতুন উদ্ভাবনের মাধ্যমে দেশ নব উদ্যমে এগিয়ে যাবে।

উপাচার্য সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, যোগাযোগ, ব্যবসা, বাণিজ্য ও অর্থনীতিসহ সর্বক্ষেত্রে অভূতপূর্ব অগ্রগতি ও সাফল্য অর্জন করে অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে। বাংলাদেশ বিশ্ববাসীর কাছে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে।

সাফল্য, উন্নয়ন ও অগ্রগতির এই ধারা নতুন বছরেও অব্যাহত রেখে প্রযুক্তিনির্ভর, অন্তর্ভুক্তিমূলক, সুখী, সমৃদ্ধ, অসাম্প্রদায়িক এবং মানবিক দেশ ও সমাজ বিনির্মিত হবে বলে উপাচার্য আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এইচআর/কেএ