রাজধানীর নিউ সুপার মার্কেটে আগুনের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। শনিবার (১৫ এপ্রিল) সকালে এই মার্কেটে আগুন লাগার পর থেকে দিনভর ঘটনাস্থলে উপস্থিত ব্যবসায়ী, ফায়ার সার্ভিস ও আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের চাহিদামত বিশুদ্ধ খাবার পানি, শুকনা খাবার এবং ইফতার পৌঁছে দেন তারা।

ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের সংশ্লিষ্টরা জানান, সারাদিনে নিউমার্কেট এলাকায় আগুন নেভানোর কাজ করা ফায়ার ফাইটার, আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও বিভিন্ন দোকানের মালিক-কর্মচারীদের চাহিদামত প্রায় ৮ হাজার পানির বোতল এবং ১ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার ও ৫ হাজার প্যাকেট ইফতার বিতরণ করা হয়েছে। দুর্ঘটনার খবর শোনার পর থেকে তাৎক্ষণিকভাবে ৭টি হলের সংশ্লিষ্ট নেতাকর্মীরা নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় এসব আয়োজন করেছেন।

ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের সবশেষ কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ফুয়াদ হাসান বলেন, মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকেই আমরা স্ব স্ব অবস্থান থেকে ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়িয়েছি। ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের প্রতিটি নেতাকর্মীরাই সারাদিন স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে সহায়তা করেছেন। শুধু ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দই নয় বরং ক্যাম্পাসের রোভার স্কাউট, বিএনসিসি, রেড ক্রিসেন্ট ও সাধারণ শিক্ষার্থীরাও কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সহায়তা করেছেন। আগুনের তীব্রতা ও প্রচণ্ড গরমের কারণে উদ্ধার কাজে অংশ নেওয়া ফায়ার সার্ভিসসহ অনেকের পক্ষেই রোজা রাখা আজ সম্ভব হয়নি। আমরা তাদের নিরাপদ পানি ও খাবার এবং সন্ধ্যায় ইফতার সরবরাহ করেছি।

চন্দ্রিমা মার্কেটের সামনে দাঁড়িয়ে ভ্যানগাড়িতে করে ইফতার বিতরণ করতে দেখা যায় ছাত্রলীগকর্মী মুহাম্মদ আনজির হুসাইনকে। তিনি বলেন, আমরা প্রতিবেশী হিসেবে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছি। ঈদের আগে এমন ঘটনায় আমরা অত্যন্ত শোকাহত। ব্যবসায়ীদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করে তাদের সামান্য সহযোগিতার জন্য আমাদের এই আয়োজন করা হয়েছে। এখানে শুধু ব্যবসায়ীরাই নয় বরং দায়িত্বপ্রাপ্ত অন্যান্য মানুষ জনও রয়েছেন। সবার হাতেই আমরা খাবার পৌঁছে দিচ্ছি।

অপরদিকে স্বপ্রণোদিত হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সাহায্যে এগিয়ে এসে শিক্ষার্থীরা নজির স্থাপন করেছেন বলে মন্তব্য করেন ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউসুফ। তিনি বলেন,  অগ্নিকাণ্ডের শুরু থেকেই ঢাকা কলেজের ছাত্র-শিক্ষক সবাই স্ব স্ব অবস্থান থেকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। আমাদের প্রশিক্ষিত রোভার স্কাউট, বিএনসিসি ও রেডক্রিসেন্ট সদস্যরা সরাসরি উদ্ধার কাজে অংশগ্রহণ করেছেন। ঢাকা কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের বিভিন্নপর্যায়ের নেতা-কর্মীরাও তাদের অবস্থান থেকে ব্যবসায়ীদের জন্য কাজ করেছেন। এমন কার্যক্রম দেশের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের জন্য অনন্য নজির। 

ভবিষ্যতেও শিক্ষার্থীরা এমনভাবে দেশ ও দশের কল্যাণে এগিয়ে আসবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

আরএইচটি/এমএ