বামে রাজু ডানে শাওন

ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষ করে ঢাকায় আসার পরদিনই ঘুমের মধ্যে মৃত্যু হয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রাজু আহমেদের। তার মৃত্যুর একদিন পরেই রাজধানীর গেন্ডারিয়ায় ধূপখোলা বাজারে রাস্তার গ্যাসলাইন মেরামতের সময় বিস্ফোরণে দগ্ধ হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান শাওনসহ আরও সাতজন।

জানা যায়, রাজু আহম্মেদ গত ৩০ এপ্রিল পঞ্চগড় থেকে ঢাকায় ফেরার পর বিকেলে ঘুমের মধ্যে হঠাৎ খিঁচুনি উঠলে সে অজ্ঞান হয়ে যায়। পরে তার বন্ধুরা ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে পরিবারের দাবি, রাজুর মৃত্যু স্বাভাবিক নয় তাকে হত্যা করা হয়েছে। পরিবার এ ঘটনার সুষ্ঠ তদন্তের দাবি জানিয়েছে। কিন্তু ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন করতে পারছে না প্রশাসন।

রাজু আহম্মেদের মৃত্যুর ঠিক পরদিনই রাজধানীর গেন্ডারিয়ার ধূপখোলা বাজারে রাস্তার গ্যাসলাইন মেরামতের সময় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় মেহেদী হাসান শাওনের শরীরের ৩০ শতাংশ দগ্ধ হয়। সঙ্গে সঙ্গেই তাকে রাজধানীর বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। শাওনের বাড়ি নাটোর জেলায়।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এস এম আইউব হোসেন বলেন, গত ১ মে গেন্ডারিয়া ধুপ খোলা এলাকা হতে দগ্ধ অবস্থায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্র আমাদের এখানে ভর্তি হন। আজ সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) ২০ নাম্বার বেডে মৃত্যু হয় তার। তার শরীরের ৩০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।

রাজু ও শাওনের মৃত্যুতে শোকের মাতম নেমে এসেছে পুরো বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ কেউই তাদের মৃত্যু মেনে নিতে পারছে না। তারা সকলেই অনবরত সামাজিক মাধ্যমে তাদের স্মৃতিচারণ করছে।

এমএল/এমজে