সম্মিলিত পাঠাগার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় পরিষদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১২ মে) বিকেলে রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে এক অনুষ্ঠানে নবনির্বাচিত কেন্দ্রীয় পরিষদের সদস্যদের শপথবাক্য পাঠ করান নাট্যব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক রাষ্ট্রদূত ওয়ালি-উর রহমান। সম্মিলিত পাঠাগার আন্দোলনের সভাপতি আবদুস ছাত্তার খানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জুলিয়াস সিজার তালুকদারের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের উপদেষ্টা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী তাজুল ইসলাম খান, কবি সৈকত হাবিব, খান মাহবুব, ড. সেলু বাসিত, বিশিষ্ট চলচ্চিত্রকার মসীহউদ্দিন শাকের ও রেজিনা ইসলাম।

জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর পরিচিতি পর্বে কেন্দ্রীয় পরিষদের সদস্যদের অডিও ভিজুয়াল উপস্থাপনার মাধ্যমে পরিচিত করা হয়।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জুলিয়াস সিজার তালুকদার স্বাগত বক্তব্যে বলেন, বিকশিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ব্যবহারকে বাংলাদেশের প্রান্তিক পর্যায় পর্যন্ত নিয়ে যাবে সম্মিলিত পাঠাগার আন্দোলন। চতুর্থ বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও সুযোগগুলো গ্রহণ করতে দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়নসহ আধুনিক সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখবে এই সংগঠন। আমরা বিশ্বাস করি যে, গণমানুষকে যেকোনো কাজে প্রস্তুত করতে প্রাতিষ্ঠানিক চর্চার সঙ্গে সংস্কৃতিগত অনুশীলন আবশ্যক। আমাদের সংগঠন সে বিষয়ে নিরন্তর কাজ করতে অঙ্গীকারবদ্ধ।

সভাপতি আব্দুস ছাত্তার খান বলেন, সমষ্টির মুক্তির ভেতর দিয়ে ব্যক্তির মুক্তি আসবে। সম্মিলিত মানুষই ইতিহাস নির্মাণ করে। বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রামে একটি করে পাঠাগার নির্মিত হবে– এ প্রত্যাশা নিয়ে সম্মিলিত পাঠাগার আন্দোলন কাজ করে যাবে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে কূটনীতিক ওয়ালি-উর রহমান বলেন, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে আমরা যারা দেশের জন্য দাঁড়িয়ে ছিলাম তাদের অনেকের জীবনে পাঠাগারের একটি প্রভাব ছিল। আমার নিজের গ্রামের পাঠাগারটিও আমাদের তিন ভাইকে ব্যাপকভাবে উদ্বুদ্ধ করেছে। আমি চাই সম্মিলিত পাঠাগার আন্দোলনের মাধ্যমে সারা দেশে এমন পাঠাগার গড়ে উঠুক।

নাট্যব্যক্তিত্ব মামুনুর রশিদ বলেন, দুর্নীতি, অপশাসন ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে মেরুদণ্ড সম্পন্ন মানুষ তৈরির জন্য পাঠাগার বিকল্পহীন। তাই রাষ্ট্রের স্বার্থে বলিষ্ঠ নাগরিক তৈরির জন্য সম্মিলিত পাঠাগার আন্দোলনের ভূমিকা অতি গুরুত্বপূর্ণ।

এইচআর/এসএসএইচ/