ঢাকা পোস্টে সংবাদ প্রকাশের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের আলোচিত সেই শিক্ষক নিয়োগের ভাইভা বোর্ড স্থগিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

সোমবার (১৫ মে) এটি স্থগিত করা হয়। ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শিক্ষক নিয়োগ বোর্ড সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল।

এর আগে গত ১১ মে 'পরীক্ষা কার্যক্রমে নিষিদ্ধ হয়েও থাকছেন শিক্ষক নিয়োগ বোর্ডে!' শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে ঢাকা পোস্ট।

আগামী ১৭ মে শিক্ষক নিয়োগের ভাইভা বোর্ড বসার কথা থাকলেও সেটা অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এ সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছেন বিভাগের শিক্ষক ও আবেদন প্রার্থীরা।

তারা বলছেন, পরীক্ষার ফলে অনিয়মের কারণে বহিষ্কৃত হওয়া অধ্যাপক ড. বাহাউদ্দীনকে বাদ দিয়ে নতুন বোর্ড গঠন হলে সেটি আরও নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু হবে এবং যোগ্য প্রার্থীই শিক্ষক হিসেবেই নিয়োগ পাবেন।

অধ্যাপক ড. মাকসুদ কামাল ঢাকা পোস্টকে বলেন, ভাইবা বোর্ড নিরপেক্ষ নয় বা বহিষ্কৃত শিক্ষক নিয়ে ভাইবা বোর্ড গঠন হওয়ায় সমালোচনা তৈরি হলে এটি আমরা আপাতত স্থগিত করি। এ বিষয়ে রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে আইন উপদেষ্টার মতামত চাওয়া হয়েছে। এরপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে এ শিক্ষক বোর্ডে থাকতে পারবেন কিনা। তারপর দ্রুত আমরা ভাইভার তারিখ ঘোষণা করব।

অধ্যাপক বাহাউদ্দীন গত বছরের ১৩ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট কর্তৃক তিন বছরের জন্য পরীক্ষা সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম থেকে বহিষ্কার হন। কিন্তু তারপরও তাকে নিয়োগ ভাইভা বোর্ডে রাখায় বিতর্কের সৃষ্টি হয় এবং উপ-উপাচার্য বরাবর একাধিক শিক্ষক ও আবেদন প্রার্থী অভিযোগ জানান।

ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের একাধিক শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, একজন শিক্ষক যেখানে বিভাগের পরীক্ষা সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম থেকে বহিষ্কৃত, তিনি আবার শিক্ষক নিয়োগের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষায় বোর্ড মেম্বার হিসেবে কোনোভাবেই থাকতে পারেন না।

বোর্ড বাতিল হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করে বিভাগের এক শিক্ষক ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একটি ভালো সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে চূড়ান্তভাবে অধ্যাপক বাহাউদ্দীনকে নিয়োগ বোর্ড থেকে বাদ দিতে হবে। তিনি বোর্ডে থাকলে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছ নাও হতে পারে।

এইচআর/এমএ