বাংলাদেশে এই প্রথমবারের মতো ডেটা সায়েন্সে স্নাতক প্রোগ্রামের অনুমোদন পেয়েছে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউ আই ইউ) কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগ। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ডেটা সায়েন্স বিশ্বব্যাপী শীর্ষ বিষয় হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে এবং এটি স্মার্ট বাংলাদেশের রূপান্তরের জন্য অপরিহার্য।

ইউআইইউর উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. আবুল কাশেম মিয়া বলেন, সামনের দিনের চ্যালেঞ্জ হলো স্নাতকদের কম্পিউটিং এবং ডেটা অ্যানালাইসিসে দক্ষ করে তোলা। স্মার্ট বাংলাদেশের জাতীয় পথ পরিক্রমায় এই দক্ষতা ডেটা-চালিত নেতৃত্বের সহায় হবে। আমরা বিশ্বাস করি, এই নতুন অনুমোদিত প্রোগ্রামের গ্র্যাজুয়েটরা, এই প্রক্রিয়ায় মুখ্য ভূমিকা পালন করবেন।

তিনি বলেন, বিভাগটি ইতোমধ্যেই উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন জিপিউ ভিত্তিক কম্পিউটিং সুবিধা স্থাপন করেছে, যা নিয়মিত পরীক্ষাগার এবং অন্যান্য সুবিধার পাশাপাশি প্রোগ্রামটি সফলভাবে চালানোর জন্য অতীব প্রয়োজনীয়। এই বিভাগের শিক্ষকরা তাদের কার্যক্ষেত্রে দেশের সেরা। বিশেষ করে তাদের প্রাতিষ্ঠানিক ডিগ্রি ও অভিজ্ঞতা মেশিন লার্নিং, ডিপ লার্নিং, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবোটিক্স-এর মতো ক্ষেত্রগুলোতে। শুধু তাই নয়, তাদের প্রত্যেকের রয়েছে এই বিষয়গুলোর প্রায়োগিক ক্ষেত্র তথা বায়োইনফরমেটিক্স, জিনোমিক্স, চিকিৎসা বিজ্ঞান, কৃষি, এপিডেমিওলজি, ফিনান্স, সামাজিক মিডিয়া বিশ্লেষণ, ন্যাচারাল ল্যাঙ্গুয়েজ প্রসেসিং, স্যাটেলাইট ইমেজিং, রিমোট সেন্সিং, স্বাস্থ্য তথ্য এবং বিপণনের মতো জায়গাগুলোতে কাজ করার অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা। প্রাসঙ্গিক ক্ষেত্রে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক একাডেমিক এবং ইন্ডাস্ট্রি বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে নেওয়া ইনপুট সহকারে পাঠ্যক্রমটি তৈরি করা হয়েছে।

কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. সালেকুল ইসলাম বলেন, ডেটা সায়েন্স অদূর ভবিষ্যতে সবচেয়ে চাহিদাপূর্ণ বিষয় হবে এবং দেশে-বিদেশে অসংখ্য চাকরির সুযোগ তৈরি হবে। ইউ আই ইউ-এর সিএসই বিভাগ সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা সেরা গ্র্যাজুয়েট তৈরি করতে আত্মবিশ্বাসী এবং তারা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং মেশিন লার্নিংয়ের বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমাদের দেশকে নেতৃত্ব দেবে। 

সদ্য অনুমোদিত প্রোগ্রামের ক্লাস ২০২৩ সালের ফল সেমিস্টার থেকে শুরু হবে। বিভাগটি ইন্ডাস্ট্রি এবং সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে চায় এবং চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের দিকে উদ্দিষ্ট জাতীয় অগ্রযাত্রায় একটি মুখ্য ভূমিকা পালন করতে চায়।

এফকে