দীর্ঘ দুই মাস ধরে বন্ধ রয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়া। যেখানে কম মূল্যে ভালো মানের খাবার পরিবেশন করা হতো। একইসঙ্গে ক্লাস শেষে চায়ের চুমুকে গল্প-আড্ডায় মেতে থাকতেন শিক্ষার্থীরা। তবে এটি বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

জানা গেছে, পরিচালক না থাকায় বন্ধ রয়েছে ক্যাফেটেরিয়া। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে লোকসানে পড়া এ ক্যাফেটেরিয়া ছেড়েছেন পরিচালক। এছাড়া এ খাতে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভর্তুকিও দেওয়া হয় না। ফলে লোকসানের ভয়ে কেউ ক্যাফেটেরিয়া চালাতে রাজি হচ্ছেন না।

শিক্ষার্থীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃতি চর্চার প্রাণ কেন্দ্র শিক্ষক-ছাত্র সাংস্কৃতিক কেন্দ্র (টিএসসিসি)। ক্লাস-পরীক্ষা শেষে ক্লান্তি দূর করতে শিক্ষার্থীরা চা এবং কফির আড্ডা দিতে চলে আসেন ক্যাফেটেরিয়াতে। সেইসঙ্গে চলে গানের আড্ডাও। ক্যাম্পাসের বাইরের হোটেলগুলোর তুলনায় এখানে কম মূল্যে ভালো মানের খাবার পাওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরাসহ টিএসসিসিতে অবস্থিত বিভিন্ন সামাজিক ও সাংবাদিক সংগঠনের সদস্যরাও সকাল ও দুপুরের খাবার খেতেন। তবে এটি বন্ধ থাকায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তাদের। 

সরেজমিনে দেখা যায়, দীর্ঘদিন ধরে ক্যাফেটেরিয়াটি বন্ধ থাকায় আগের মতো শিক্ষার্থীদের কোনো কোলাহল নেই। ফলে এর চারপাশসহ চেয়ার-টেবিলগুলোতে ধুলার আস্তরণ পড়ে গেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মামুন হোসেন বলেন, ক্লাস-পরীক্ষার ক্লান্তি দূর করতে বন্ধুরা মিলে ক্যাফেটেরিয়ায় এসে চায়ের আড্ডায় গল্পের ঝড় উঠত। এছাড়া মাঝে মাঝে এখানে সকাল ও দুপুরের খাবার খেতাম। পাশাপাশি সিনিয়র-জুনিয়ররা মিলে আড্ডা চলত। তবে দীর্ঘদিন ধরে এটি বন্ধ থাকার কারণে আমরা এ সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। 

টিএসসিসির পরিচালক অধ্যাপক ড. বাকী বিল্লাহ বিকুল জানান, ক্যাফেটেরিয়ার পরিচালক নেওয়ার জন্য বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। যারা পরিচালক হতে আগ্রহী তাদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে অফিসে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। এরপর যাচাই-বাছাই করে পরিচালক নিয়োগ দেওয়া হবে।

রাকিব হোসেন/এফকে