প্রশ্নে লেখা পরীক্ষার সময়সূচি চার ঘণ্টা। কিন্তু পরীক্ষা শুরুর আধাঘণ্টা পর ঘোষণা এলো শেষ করতে হবে দুই ঘণ্টায়। অথচ প্রশ্নপত্রে উল্লেখ রয়েছে পরীক্ষার সময় চার ঘণ্টা। প্রশ্নপত্রের মানবণ্টনও চার ঘণ্টার পরীক্ষার মতোই।

শুনতে অবাক লাগলেও ঠিক এমনটিই ঘটেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত রাজধানীর সরকারি সাত কলেজের ২০১৮ সালের স্নাতক (ডিগ্রি) তৃতীয় বর্ষের কেন্দ্রীয় পরীক্ষায়। কর্তৃপক্ষের এমন উদাসীন ও বেখেয়ালি কাণ্ডে বিস্ময় এবং ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

জানা গেছে, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে তৃতীয় বর্ষের এ পরীক্ষা শুরু হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, চার ঘণ্টার পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে দুই ঘণ্টায়। এতে পরিবর্তন আনা হয়েছে প্রশ্ন কাঠামোতেও। কিন্তু গত মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) অনুষ্ঠিত ১৩১৮০১ পত্রকোডের প্রশ্নপত্রে সময় উল্লেখ ছিল চার ঘণ্টা। মিল ছিল না দুই ঘণ্টার পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের কাঠামোর সঙ্গেও।

দুই ঘণ্টার পরীক্ষার প্রশ্ন কাঠামোতে শিক্ষার্থীদের ‘ক’ বিভাগ থেকে পাঁচটি, ‘খ’ বিভাগ থেকে দুটি ও ‘গ’ বিভাগ থেকে তিনটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা জানান, মঙ্গলবার সাত কলেজের ডিগ্রি তৃতীয় বর্ষের ইসলামিক স্ট্যাডিজ বিষয়ের (পত্রকোড- ১৩১৮০১) প্রশ্নপত্রে সময় চার ঘণ্টা উল্লেখ করে। তবে মানবণ্টন (৮০ নম্বর) সংক্ষিপ্ত না করে পরীক্ষার হলে হঠাৎ ঘোষণায় চার ঘণ্টার পরীক্ষা দুই ঘণ্টায় নেওয়া হয়। এমন ঘোষণায় পরীক্ষার হলেই বিড়ম্বনায় পড়তে হয় শিক্ষার্থীদের। ওই দিনে পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের ‘ক’ বিভাগ থেকে ১০, ‘খ’ বিভাগ থেকে পাঁচটি, ‘গ’ বিভাগ থেকে পাঁচটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়েছে মাত্র দুই ঘণ্টায়।

রাব্বি হাসান নামের এক পরীক্ষার্থী বলেন, ২৩ মার্চ অনুষ্ঠিত ১৩১৮০১ পত্রকোডের প্রশ্নপত্রে সময় উল্লেখ ছিল চার ঘণ্টা। মিল ছিল না দুই ঘণ্টার পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের কাঠামোর সঙ্গেও। এতে পরীক্ষা কেন্দ্রেই চরম বিপাকে পড়তে হয় আমাদের। কর্তৃপক্ষের এমন উদাসীন কাণ্ডে আমরা অবাক হয়েছি।

সিরাজুম মুনিরা নামের আরেক পরীক্ষার্থী বলেন, আমাদের আগের পরীক্ষাগুলো দুই ঘণ্টাতে হয়েছে। কিন্তু মঙ্গলবারের পরীক্ষায় সময়সূচি ছিল চার ঘণ্টা। তবে আমাদের সময় কমিয়ে দুই ঘণ্টা করে দেয়। প্রশ্নপত্র ছিল চার ঘণ্টার। চার ঘণ্টার পরীক্ষা কি দুই ঘণ্টায় দেওয়া যায়? আমরা ফলাফল খারাপ হওয়ার আশঙ্কা করছি।

এ বিষয়ে জানতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বাহালুল হক চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, পরীক্ষার এই বিষয়টি নিয়ে মিটিং হয়েছে। এটি গোপনীয় বিষয় আমি শেয়ার করব না। এই বিষয়ে পরীক্ষা কমিটির সভাপতিকে ফোন করেন।

তবে এমন ঘটনার কারণ জানতে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ ও সাত কলেজের সমন্বয়ক (ফোকাল পয়েন্ট) অধ্যাপক আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকারকে একাধিকবার কল করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

আরএইচটি/এফআর