ঢাবিতে শিক্ষক মূল্যায়ন কার্যক্রম শুরু জুলাইতে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ‘টিচিং ইভ্যালুয়েশন’ অর্থাৎ শিক্ষক মূল্যায়ন কার্যক্রম চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীরা অনলাইনে নির্ধারিত ফরমে ৫টি সূচক ও তৎসংশ্লিষ্ট উপসূচকের আলোকে এই মূল্যায়ন করতে পারবেন।
চলতি বছরের জুলাই থেকে এ কার্যক্রম শুরু হবে বলে ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল।
বিজ্ঞাপন
শিক্ষক মূল্যায়নপদ্ধতি চালু হলে কোন শিক্ষক কেমন পড়ান, তার কোর্সের বিষয়বস্তু কেমন, তিনি সময়মতো ক্লাসে যান কি না, কোর্স ম্যাটারিয়ালস সরবরাহ করছে কি না, মিডটার্ম, অ্যাসাইনমেন্ট ঠিকমতো নিচ্ছেন কি না এবং সেগুলো ঠিকমতো মূল্যায়ন হচ্ছে কি না- এসবসহ সার্বিক বিষয়ে শিক্ষার্থীদের মতামত দেওয়ার সুযোগ তৈরি হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
টিচিং ইভ্যালুয়েশনের প্যারামিটার সম্পর্কে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ধারণা দেওয়ার জন্য ইতোমধ্যে বিশেষ সেমিনার ও ওয়ার্কশপের উদ্যোগ চলমান রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
এর আগে গত বছরের ১ নভেম্বর নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের এক সভায় এই কার্যক্রম চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
শিক্ষার সামগ্রিক গুণগতমান উন্নয়ন ও শিক্ষকদের পেশাগত দক্ষতা অর্জনে টিচিং ইভ্যালুয়েশন কার্যক্রম ভূমিকা রাখবে বলে অভিমত দেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, এর মাধ্যমে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে ইন্টারঅ্যাকশন বাড়বে এবং শিক্ষকদের রেসপন্সিবিলিটি অ্যান্ড অ্যাকাউন্টিবিলিটি বাড়বে। সর্বোপরি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণার সামগ্রিক গুণগত মানোন্নয়ন ও শিক্ষকদের পেশাগত দক্ষতা অর্জনে টিচিং ইভ্যালুয়েশন কার্যক্রম ভূমিকা রাখবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মাঝে অ্যাওয়ারনেস বিল্ডআপ করা, কোয়ালিটি বাড়ানো, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে ইন্টারঅ্যাকশন বাড়ানো, শিক্ষকের রেসপন্সিবিলিটি অ্যান্ড অ্যাকাউন্টিবিলিটি বাড়ানো। সর্বোপরি শিক্ষকের মর্যাদা রক্ষা করে, শিক্ষার্থীদের অধিকার রক্ষা করে বিশ্ববিদ্যালয়ে মানসম্মত শিক্ষা এবং গবেষণা নিশ্চিত করার জন্য এই কার্যক্রমটা আমরা শুরু করছি। এই কার্যক্রমে সম্পূর্ণ গোপনীয়তার বিধান উল্লেখ রয়েছে।
এইচআর/এমজে