শাবির নতুন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক কবির হোসেন

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. কবির হোসেন। সোমবার (১০ জুলাই) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উপসচিব মোছা. রোখছানা বেগম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। 

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের  অনুমোদনক্রমে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৮৭ এর ধারা ১৩ (১) অনুযায়ী পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. কবির হোসেনকে উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য পদে নিম্নোক্ত শর্তে নিয়োগ করা হলো। উপ-উপাচার্য হিসেবে তার এ নিয়োগের মেয়াদ যোগদানের তারিখ থেকে চার বছর হবে। উপ-উপাচার্য পদে কর্মরত থাকাকালীন তিনি তার বর্তমান পদের সমপরিমাণ বেতন ভাতাদি পাবেন। তিনি উপ-উপাচার্য পদ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবেন এবং সার্বক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন।  তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন/সংবিধি দ্বারা নির্ধারিত ও উপাচার্য কর্তৃক প্রদত্ত দায়িত্ব পালন করবেন এবং মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর প্রয়োজন মনে করলে যে কোনো সময় এ নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন।

অধ্যাপক ড. কবির হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি এবং মেডিকেল প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

নবনিযুক্ত উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কবীর হোসেন বলেন, আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমি ঋণী রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে। তারা আামকে এ পদের জন্য যোগ্য বলে মনে করেছেন।

নিজের দায়িত্ব পালন ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমার দায়িত্ব পালনকালে আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের জন্য সততা ও ন্যায়-নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে যেতে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন ও একাডেমিক কার্যক্রমকে আরও ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে আমি কাজ করে যাব। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ ঠিক রেখে শিক্ষার্থীদের মৌলিক চাহিদাগুলোও পূরণ করতে আমি সব সময় কাজ করার চেষ্টা করব।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, সরকার উপ-উপাচার্য নিয়োগ দিয়েছে। আমি উনাকে স্বাগত জানাই। আমরা একসঙ্গে উন্নয়নমূলক কাজগুলো পরিচালনা করে এ বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবো।

জুবায়েদুল হক রবিন/আরএআর