মোদিবিরোধী সমাবেশ-মিছিলে নির্যাতন ও হত্যার প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) বিক্ষোভ করেছে বামপন্থী সংগঠনগুলো। বুধবার (৩১ মার্চ) দুপুরে সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের সামনে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশের আগে টিএসসি থেকে একটি মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে রাজু ভাস্কর্যে এসে শেষ হয়। মিছিল শেষে একই স্থানে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম মোস্তফা বলেন, যারা আন্দোলনে হামলা করেছে তারা মোদি লীগ। তারা মোদির গোলামী করে, মোদির তাবেদারী করে। মোদিবিরোধী কর্মসূচিতে হামলায় আজও হাসপাতালে এবং জেলখানায় আছে শত শত ছাত্র-জনতা। যে বুলেট চালানো হচ্ছে, সে বুলেট জনগণের টাকায় কেনা। জনগণের টাকা দিয়ে কেনা বুলেটে যে জনগণকে আঘাত করে, সে হচ্ছে কসাই। এ স্বৈরাচার সরকার থেকে আজ কেউ নিরাপদ নয়।

তিনি আরও বলেন, আজ একটি স্লোগান জনপ্রিয় হচ্ছে। সেটি হচ্ছে 'আইয়ুব গেছে যে পথে, এরশাদ গেছে যে পথে, হাসিনাও যাবে সে পথে'। এর আগে যেভাবে আইয়ুব-এরশাদকে হটানো হয়েছে হাসিনাকেও একইভাবে হটানো হবে। যারা এ স্লোগানকে ধারণ করবে তারা দেশপ্রেমিক আর যারা এর বিপরীতে কথা বলবে তারা রাজাকার, গুণ্ডা ও মাফিয়া।

ছাত্র ইউনিয়ন নেতা মেঘমল্লার বসু বলেন, আপনারা জানেন গত কয়েকদিন আমাদের ওপর সরকারের পেটুয়া বাহিনী ছাত্রলীগ কি নির্লজ্জ আক্রমণ করে। আমাদের কমরেডরা এখনও অসুস্থ। এ আন্দোলনে বাম-ডান,সাধারণ জনগণ এক কাতারে এসেছে, সবাই রাস্তায় নেমেছে। এ স্বৈরাচার সরকারের বিরুদ্ধে একটি গণজাগরণ সৃষ্টি হয়েছে।

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সাম্প্রদায়িক সংগঠন আওয়ামী লীগ দাবি করে মেঘমল্লার বসু বলেন, আপনারা যদি খেয়াল করেন দেখবেন সাম্প্রদায়িকতার প্রধান উস্কানিদাতা কে, প্রধান কারিগর কে। সব সরকারি কর্মক্ষেত্রে নিয়োগের ক্ষেত্রে আওয়ামী ঘরনার বাইরে কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয় না।

বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি ইকবাল কবির বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হামলা হয়েছে ঢাবি ছাত্রলীগ সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাসের নেতৃত্বে, সে নাকি বামদের কলিজা খাবে। বামপন্থীদের কলিজা আপনাদের জন্য নয়, বামপন্থীদের কলিজা কৃষক, শ্রমিক মেহনতি জনতার। পেছন দিক থেকে হামলা করে কলিজা পাওয়া যায় না। মোদিবিরোধী কর্মসূচিতে কারা হামলা করেছে, লুটপাট করেছে সেটা আগেও প্রমাণিত হয়েছে।

বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলনের সভাপতি আরিফ অনিকের সঞ্চালনায় এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ শাহরিয়ার, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সভাপতি আরিফ মঈনুদ্দিন, ছাত্র ফেডারেশনের একাংশের সভাপতি মিথু সরকার প্রমুখ।

এইচআর/এসকেডি