কুবিতে সাংবাদিক মনোয়ারের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবি
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বক্তব্য নিয়ে সংবাদ পরিবেশন করায় বহিষ্কার হওয়া সাংবাদিক ও শিক্ষার্থী ইকবাল মনোয়ারের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সাংবাদিকরা।
বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) দুপুরে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় গোলচত্বরে মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়। মানববন্ধনের আয়োজন করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (কুবিসাস)
বিজ্ঞাপন
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (কুবিসাস) এর সাধারণ সম্পাদক আহমেদ ইউসুফ আকাশের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন কুবিসাস এর সভাপতি মুহা. মহিউদ্দিন মাহি।
এ ঘটনার বিস্তারিত জানতে পড়ুন : ‘উপাচার্যের বক্তব্য আমি হুবহু তুলে ধরেছি’
বিজ্ঞাপন
এসময় দৈনিক সময়ের আলোর প্রতিনিধি এবিএস ফরহাদ, দৈনিক জনবাণীর প্রতিনিধি আনোয়ার আজম, দৈনিক আলোকিত সকালের প্রতিনিধি গোলাম কিবরিয়া, দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদের প্রতিনিধি মঈনুদ্দিন ইরফান, দৈনিক মানবকন্ঠের প্রতিনিধি জুবায়ের রহমান, দৈনিক যুগান্তরের প্রতিনিধি সাঈদ হাসান, শেয়ার বীজের প্রতিনিধি শাহীন আলম, দৈনিক দেশ রূপান্তরের প্রতিনিধি নাঈমুর রহমান রিজভী, দৈনিক আমাদের অর্থনীতির প্রতিনিধি চৌধুরী মাসাবীহ, দৈনিক আমাদের নতুন সময়ের প্রতিনিধি হাসান আল মাহমুদ, দৈনিক স্বদেশ প্রতিদিনের প্রতিনিধি মোহাম্মদ রাজীব, আজকের দৈনিকের প্রতিনিধি তুষার ইমরান, দৈনিক ভোরের ডাকের প্রতিনিধি রকিবুল হাসান, দৈনিক খোলা কাগজের প্রতিনিধি হাসিবুল ইসলাম সবুজ, দৈনিক আনন্দবাজারের প্রতিনিধি চাঁদনী আক্তার, অধিকার পত্রের প্রতিনিধি জাহিদুল ইসলাম, রাইজিং বিডির প্রতিনিধি হেদায়াতুল ইসলাম নাবিদ, আজকের শতাব্দীর প্রতিনিধি হোসাইন মোহাম্মদ ও ডাকঘরের প্রতিনিধি শাহীন ইয়াসার উপস্থিত ছিলেন।
এসময় আহমেদ ইউসুফ আকাশ বলেন, ইকবালকে বহিষ্কারের আগের দিন উপাচার্য আমাকে তার রুমে ডেকে নিয়ে তাকে সমিতি থেকে বহিষ্কার করার নির্দেশ দেন। এরপর বলেন আমি যদি তাকে সমিতি থেকে বহিষ্কার না করি তাহলে ইকবালকে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করবেন এবং তাকে আইসিটি আইনে মামলা দেবেন। পর দিন তিনি ইকবালকে বহিষ্কার করে তার কথার প্রতিফলন ঘটিয়েছেন। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং আইনবহির্ভূত এই বহিষ্কারাদেশ নিঃশর্ত প্রত্যাহারের দাবি জানাই।
দৈনিক সমকালের প্রতিনিধি মুহা. মহিউদ্দিন মাহি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনোরকম আইনের তোয়াক্কা না করে এবং কোনো বিধি না মেনে ইকবালকে বহিষ্কার করেছে। সাংবাদিক সমিতি মনে করে সংবাদ প্রকাশ কোনো অপরাধ নয়। যে সংবাদের জন্য ইকবালকে বহিষ্কার করা হয়েছে সেই সংবাদের সব তথ্য প্রমাণ আমাদের কাছে রয়েছে। প্রশাসন বলেছে উচ্চপর্যায়ের সভার সিদ্ধান্তের মাধ্যমে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। কিন্তু এই উচ্চপর্যায়ের সভায় আছেন এবং কোন শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে ইকবালকে বহিষ্কার করেছেন তার কিছুই উল্লেখ করেননি প্রশাসন। আমরা আজকের মধ্যে এই বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার চাই অন্যথায় আগামী রোববার পুরো বাংলাদেশের সাংবাদিকদের নিয়ে কঠোর আন্দোলন করতে বাধ্য হবো।
মানববন্ধনের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যাক্ষ বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
প্রসঙ্গত, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) উপাচার্য এ এফ এম আব্দুল মঈনের বক্তব্য নিয়ে পত্রিকায় প্রতিবেদন করায় ইকবাল মনোয়ার নামের এক শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বুধবার (২ আগস্ট) সন্ধ্যায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার আমিরুল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বহিষ্কার আদেশ দেওয়া হয়।
সাময়িক বহিষ্কার হওয়া ইকবাল মনোয়ার কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ২০১৭-২০১৮ বর্ষের শিক্ষার্থী এবং কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিত (কুবিসাস) এর অর্থ সম্পাদক। তিনি দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার কুবি প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত আছেন।
আরিফ আজগর/এমএএস