নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) উপাচার্য পদে দ্বিতীয় মেয়াদে নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক ড. মো. দিদার-উল-আলম।

রোববার (১৩ আগস্ট) সকালে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব মোছা. রোখছানা বেগম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০০১-এর ধারা ১০ (১) অনুযায়ী ড. মো. দিদার-উল-আলমকে দ্বিতীয় মেয়াদে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর পদে নিম্নোক্ত শর্তে নিয়োগ দেওয়া হলো।

শর্তসমূহ হলো, ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে তার নিয়োগের মেয়াদ যোগদানের তারিখ হতে ৪ (চার) বছর হবে। তবে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর প্রয়োজনে যেকোনো সময় এ নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন। ভাইস চ্যান্সেলর পদে তিনি তার বর্তমান পদের সমপরিমাণ বেতন-ভাতাদি পাবেন। তিনি বিধি অনুযায়ী ভাইস চ্যান্সেলর পদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধা ভোগ করবেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে সার্বক্ষণিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন। এ নিয়োগ তার যোগদানের তারিখ হতে কার্যকর হবে। জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হলো।

দ্বিতীয় মেয়াদে নিয়োগ পাওয়ার পর অধ্যাপক ড. মো. দিদার-উল-আলম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি প্রথমবার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নে নিরন্তর চেষ্টা করেছি। দ্বিতীয় মেয়াদে আরও নতুন উদ্যমে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে সম্মিলিতভাবে কাজ করবো। সকলের সহযোগিতায় স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হবে বদ্ধপরিকর।

এর আগে অধ্যাপক ড. মো. দিদার-উল-আলম ২০১৯ সালের ১২ জুন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান এবং ওই বছরের ১৬ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়টির পঞ্চম উপাচার্য হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।

জানা যায়, অধ্যাপক ড. মো. দিদার-উল-আলম ১৯৬৯ সালে নারায়ণগঞ্জের জয়গোবিন্দ হাই স্কুল থেকে এসএসসি ও নারায়ণগঞ্জ তোলারাম কলেজ থেকে এইচএসসি সম্পন্ন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ভর্তি হন। সেখান থেকে মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশবিজ্ঞান বিষয়ে বিএসসি ও এমএসসি সম্পন্ন করে স্কটল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব অ্যাবারডিন থেকে ১৯৯০ সালে প্লান্ট অ্যান্ড সয়েল সায়েন্স বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। এর মধ্যেই ১৯৮৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন সিলেকশন গ্রেডের এ অধ্যাপক। এছাড়া তিনি নদী গবেষণা ইনস্টিটিউটের গবেষক হিসেবেও কাজ করেছেন।

হাসিব আল আমিন/এমজেইউ