জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক বলেছেন, আমরা একটা বিষয় লক্ষ্য করছি বর্তমানে দেশে কোনো ঘটনা ঘটলেই বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা বিবৃতি দিয়ে বসে থাকে। কিন্তু আমার প্রশ্ন— বঙ্গবন্ধুকে যখন হত্যা করা হলো তখন আপনারা কোথায় ছিলেন? জাতীয় চার নেতাকে যখন হত্যা করা হলো তখন কোথায় ছিলেন? 

রোববার (২০ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির এক আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি তিনি এ কথা বলেন।

জবি উপাচার্য বলেন, যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা চায়নি তাদের ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের চুড়ান্ত প্রতিফলন হচ্ছে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা। তারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে দেশকে পিছিয়ে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নতির দিকে অগ্রসর হচ্ছে। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে ইতোমধ্যে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র হচ্ছে, সামনে আরও হবে। তাই আমাদের সকলকেই সজাগ থাকতে হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহম্মেদ বলেন, বর্তমান সময়ে বিশ্বের পরাশক্তিগুলো বাংলাদেশকে নিয়ে এতো মাথা ঘামাচ্ছে তাও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অবদান। বাংলাদেশকে পিছিয়ে নিতে বিএনপি-জামাত বিগত দিনে সবসময়ই চক্রান্ত করেছে এবং করবে।

অনুষ্ঠানে মূখ্য আলোচক হিসেবে ইতিহাস বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মুর্শিদা বিনতে রহমান বলেন, দেশে ধর্মীয় উন্মাদনা চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। পাকিস্তান চিরকালই অস্বাভাবিক অবস্থায় ছিল। ভারতেও রাজনৈতিক অবস্থা সংকটাপন্ন। ভারত ও ইসরায়েল উভয়ে মুসলিম বিদ্বেষী আচরণ করছে তা আমরা সাম্প্রতিক সময়ে লক্ষ্য করেছি। ভারত নিজেদের জনগণের বিপরীতে সেনাবাহিনী ব্যবহার করছে। বঙ্গবন্ধু তার উদার মানবিকতা দিয়ে সব ধরণের সংকট কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করেছেন

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক আইনুল ইসলাম, বিশ্ববিদ্যালয়ে খুব শ্রীঘই বঙ্গবন্ধু চেয়ার প্রতিস্থাপনের দাবি জানান৷ তিনি বলেন, নতুন প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধু হত্যার পূর্বাপর এবং এ হত্যার প্রকৃত বিচারের জন্য একটি কমিশন গঠনের প্রস্তাব করা হয়। 

অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ উপস্থাপন করে আইন অনুষদের ডিন এস. এম. মাসুম বিল্লাহ্। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান, সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবুল হোসেন, বিভন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত কর্মকর্তা কর্মচারীরা।

এমএল/এমএসএ