ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরাকে বিনা বিচারে এক বছর কারাগারে আটক রাখার প্রতিবাদে গণস্বাক্ষরের আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। প্রথম দিনেই এক হাজারের অধিক শিক্ষার্থী স্বতঃস্ফূর্তভাবে এ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে।

বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এ গণস্বাক্ষরের আয়োজন করা হয়। আগামী ২ ও ৩ সেপ্টেম্বর এ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।

গণস্বাক্ষরে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থীকে বিনা বিচারে এক বছর ধরে আটকে রাখা তো চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন। খাদিজাকে এখন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনীতির অংশ করা হয়েছে। এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। আর আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনকে ধিক্কার জানাই খাদিজার বিষয়ে তাদের কোনো স্পষ্ট অবস্থান না থাকার কারণে। 

রাকিব হাসান নামে তৃতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থী বলেন, একটি অনুষ্ঠান সঞ্চালনার সময় কিছু প্রশ্ন করার প্রেক্ষিতে খাদিজাকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু আমরা যদি খেয়াল করি তাহলে দেখব ওই অনুষ্ঠানে এমন কোনো প্রশ্নই ছিল না যা রাষ্ট্রের ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ন করে। আমি সরকারের কাছে দাবি জানাবো- খাদিজাতুল কুবরাকে নিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে অনেক রাজনীতি হয়েছে, এবার তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়ে ক্লাসে ফিরিয়ে দিন। 

ইভান তাহসিব নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা দুই দফা দাবিতে স্বাক্ষর গ্রহণ করছি। দাবি দুটি হলো- খাদিজার নি:শর্ত মুক্তি ও সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল করা। আমরা স্বাক্ষর নিয়ে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি জমা দেব যেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ খাদিজার মুক্তির জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থী যেন এ গণস্বাক্ষর কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে সেটাই তাদের কাছে প্রত্যাশা থাকবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী খাদিজার মুক্তির দাবিতে স্বাক্ষর নিচ্ছে। কিন্তু এখানে তো আসলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কিছু করার নাই। আমাদের খাদিজার প্রতি সহানুভূতি আছে। আদালত তাকে জামিন দিলে সে যেন পূর্বের মতো ক্লাস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারে তার সকল ব্যবস্থা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গ্রহণ করবে। 

এমএল/এমজে