আওয়ামী সমর্থিত শিক্ষকদের মানববন্ধনে ‘বিএনপির জিন্দাবাদ’
বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী বিরোধী কর্মসূচিতে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জিন্দাবাদ’ স্লোগান দিয়ে আলোচনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর অধ্যাপক একেএম গোলাম রব্বানী। তবে বিষয়টিকে ‘হিউম্যান এরর’ বলে দাবি করেছেন এ শিক্ষক।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে বিএনপি ও জামায়াতের তিন দিনব্যাপী ট্রেন, সড়ক ও নৌপথ অবরোধের প্রতিবাদে ক্যাম্পাসের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে মানববন্ধন করেছে ঢাবি শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ। সেখানে বক্তব্যের সময় এমন ঘটনা ঘটান সাবেক প্রক্টর।
বিজ্ঞাপন
জানা যায়, মানববন্ধনে অধ্যাপক গোলাম রাব্বানী তার বক্তৃতা শেষে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জিন্দাবাদ’ বলেন, যা সাধারণত বিএনপি ও জামায়াত সমর্থিত শিক্ষকরা উচ্চারণ করেন। যদিও পরবর্তীতে তিনি তা সংশোধন করে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রগতি হোক’ বলে বক্তব্য শেষ করেন।
এমন বক্তব্যে দলীয় ভাবমূর্তি কিছুটা হলেও ক্ষুণ্ন হতে পারে বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক নিজামুল হক ভূঁইয়া।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, সভা-সমাবেশে সবাইকে যথেষ্ট সতর্ক থাকতে হয়। ভুলক্রমে কিছু বলে ফেললেও এতে দলীয় ভাবমূর্তি কিছুটা হলেও ক্ষুণ্ন হয়। তবে আমি মনে করি কথাটা তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে বলেননি। তিনি হয়ত ভুলক্রমে কথাটা বলে থাকতে পারেন। তবে সঙ্গে সঙ্গেই তিনি নিজের মূল বক্তব্যে ফিরে এসেছেন এবং বক্তব্য শেষ করেছেন।
এ বিষয়ে অধ্যাপক একেএম গোলাম রব্বানী বলেন, আসলে আমি জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দীর্ঘজীবী হোক বলতে গিয়ে ভুলবশত আমার মুখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জিন্দাবাদ চলে এসেছে। এটা একটা হিউম্যান এরর, স্লিপ অব টাঙ হয়েছে, ইচ্ছাকৃতভাবে বলিনি। এটাকে কেউ একজন ব্যক্তিগত শত্রুতা থেকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে।
প্রসঙ্গত, বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত নেতাকর্মী বা শিক্ষকরা নিজেদের বক্তব্যের শেষে বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জিন্দাবাদ শব্দটি উল্লেখ করে থাকেন। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ সমর্থিত নেতাকর্মী না শিক্ষকরা বক্তব্যের শেষে জয় বাংলা, বাংলাদেশ/ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দীর্ঘজীবী হোক স্লোগান ব্যবহার করে থাকেন।
কেএইচ/এমজে