ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) আবারও তিনটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (১৮ নভেম্বর) রাত সোয়া ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। তবে কে বা কারা এই বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে তা জানা যায়নি। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক ক্যাম্পাস এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। 

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, একটি মোটরসাইকেলে করে দুইজন ব্যক্তি তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যান। এ সময় আশপাশে থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেই ভয়ে দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করেন। ক্যাম্পাসে ককটেল বিস্ফোরণকে কেন্দ্র করে ঢাবি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা টিএসসি থেকে ভিসি চত্বর এলাকায় মহড়া দেন। 

এদিকে ককটেল বিস্ফোরণে মঈনুল ইসলাম নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মোর্তজা মেডিকেল সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। মঈনুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের ২০১৫-১৫ সেশনের শিক্ষার্থী এবং মাস্টার দা সূর্যসেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। তিনি হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক উপ আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক।

মঈনুল ইসলাম বলেন, আমি ভিসি চত্বর দিয়ে জহুরুল হক হলের দিকে যাচ্ছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবের কাছাকাছি আসলে হঠাৎ আমি দুটি ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ পাই। এ সময় ভয়ে আমি ক্লাবের দিকে যেতে থাকলে আরেকটি ককটেল আমার পায়ের কাছে নিক্ষেপ করা হলে সেটি বিস্ফোরিত হয়। এতে আমার পায়ের কয়েক জায়গায় কেটে রক্ত বের হতে থাকে। পরে আমি আমার এক ছোট ভাইকে সাথে নিয়ে শহীদ মোর্তজা মেডিকেল সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে হলে ফিরি।

এ ঘটনায় অল্পের জন্য রক্ষা পাওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মিজানুর রহমান খান তার ফেসবুক আইডিতে এক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, এইমাত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সন্ত্রাসীরা তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ করেছে। তার একটি সরাসরি আমার পায়ের কাছে বিস্ফোরিত হয়েছে। বড় দুর্ঘটনার হাত রক্ষা পেয়েছি।

প্রত্যক্ষদর্শী ঢাবি শিক্ষার্থী মুস্তাফিজুর রহমান শাকিল বলেন, চোখের সামনে পরপর তিনটি ককটেল ফুটলো। এখন ক্যাস্পাসও অনিরাপদ?

এর আগে গত বুধবার রাত ১০টার দিকে টিএসসির স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বরে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফের ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটলো। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন তিনজনকে আটক করেন ঢাবি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। যদিও পরবর্তীতে ওই ঘটনায় সংশ্লিষ্টতা না থাকায় তাদেরকে ছেড়ে দেয় শাহবাগ থানা পুলিশ। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. লিটন কুমার সাহা বলেন, যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছেন সিসি ফুটেজ চেক করে তাদেরকে দ্রুত সময়ের মধ্যে শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কেএইচ/আরএআর