ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) প্রশাসন‍ ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ বলে মন্তব্য করেছেন ঢাবি ছাত্র অধিকার পরিষদ। মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) ক্যাম্পাস থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া ঢাবি ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি আখতার হোসেনের সন্ধান ও মুক্তি চেয়ে সংগঠনটি এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানায়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রমজান উপলক্ষে পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের দোকানদারদের ইফতার সামগ্রী বিতরণ করে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। অনুষ্ঠান শেষে ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক ও ছাত্র অধিকার পরিষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আখতার হোসেনসহ কয়েকজন নেতাকর্মী আইন অনুষদের দিকে যান‍। পথিমধ্যে শাহবাগ থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক রইস উদ্দিনসহ আরো দুইজন পুলিশ সদস্য তার পথরোধ করে‍ন। সেখান থেকে আনুমানিক সন্ধ্যা ৭টার সময় একটি পুলিশ ভ্যানে করে তাকে তুলে নিয়ে যায়‍।

ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন‍ উল্লেখ করে এতে বলা হয়, আমরা অতিসত্ত্বর আখতার হোসেনের সন্ধান ও মুক্তি চাই‍‍। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে শিক্ষার্থীদেরকে এভাবে তুলে নিয়ে যাওয়ার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। পাশাপাশি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নীরব ভূমিকারও প্রতিবাদ জানাই। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেই শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন‍।

আখতারের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি হলে, সম্পূর্ণ দায়ভার পুলিশ প্রশাসনকে নিতে হবে‍ উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়,  আখতার হোসেন প্রশ্নফাঁস বিরোধী আন্দোলনসহ বিভিন্ন যৌক্তিক আন্দোলন-সংগ্রামে ও শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে এক বলিষ্ঠ কণ্ঠ। গত ছয় মাস ধরে টাইফয়েডসহ নানা রোগে অসুস্থ‍ আখতার হোসেন।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রাত ৭টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেনকে শাহবাগ থানার পুলিশ পরিচয়ে ক্যাম্পাস থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠে। এর আগে গত পহেলা মার্চ ঢাবি প্রশাসনকে না জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) সামনে থেকে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের তিন নেতা-কর্মীকে আটক করেছে ‘সাদাপোশাকের’ পুলিশ।

এছাড়াও গত ২৫ মার্চ নরেন্দ্র মোদির আগমনের ইস্যুকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছিল। মোদির পক্ষে-বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে বেশ কয়েকবার সংঘর্ষ বাঁধে বাম ও ছাত্রলীগের মাঝে। ছাত্রলীগের অতর্কিত হামলায় আহত হয়েছেন বাম সংগঠনের প্রায় ৩০জন নেতাকর্মী, আহত হয়েছিলেন ৭-৮ জন সাংবাদিক। সে সময় ক্যাম্পাসে থমথমে অবস্থা বিরাজ করলেও কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে নীরব ছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

এইচআর/ওএফ