ব্র্যাক ও ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদ, কেসিএমজির চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকীতে বিভিন্ন কর্মসূচী পালনের মাধ্যমে তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি।

বুধবার (২০ ডিসেম্বর) ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির প্রো ভাইস-চ্যান্সেলর এবং ভারপ্রাপ্ত ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর সৈয়দ মাহফুজুল আজিজের নেতৃত্বে বনানী কবরস্থানে স্যার ফজলের সমাধি জিয়ারত এবং পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

এরপর ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে একটি স্মরণসভার আয়োজন করা হয়। সেখানে স্যার ফজলের জীবনের উল্লেখযোগ্য বিভিন্ন দিক এবং দর্শন আলোচিত হয়। আলোচকবৃন্দ শিক্ষা ও সমাজ উন্নয়নে স্যার ফজলের উল্লেখযোগ্য অবদান তুলে ধরেন।

আলোচনা অনুষ্ঠানে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর এবং ভারপ্রাপ্ত ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর সৈয়দ মাহফুজুল আজিজ ছাড়াও ছিলেন ব্র্যাক ইন্সটিটিউট অফ ল্যাঙ্গুয়েজেস এর সিনিয়র ডিরেক্টর লেডি সৈয়দা সারওয়াত আবেদ, ইনস্টিটিটিউটের ডিরেক্টর প্রফেসর শায়লা সুলতানা, রেজিস্ট্রার ড. ডেভিড ডাউল্যান্ড, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির প্রাক্তন রেজিস্ট্রার মেজর জেনারেল (অব.) সাহুল আফজালসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও স্টাফবৃন্দ।

স্যার ফজলের অবদান স্মরণ করতে গিয়ে লেডি সৈয়দা সারওয়াত আবেদ বলেন, “প্রাথমিক শিক্ষায় স্যার ফজলে হাসান আবেদের রয়েছে অভূতপূর্ব অবদান। তিনি ৪৫০০০ প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন। সমাজের সবাইকে সম্পৃক্ত করতে উদ্ভাবনী শিক্ষাপদ্ধতি চালু করেছেন তিনি।” তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ এবং বিশ্বের শিক্ষা ক্ষেত্রে দীর্ঘস্থায়ী এক প্রভাব রেখে গেছেন স্যার ফজলে।

প্রফেসর সৈয়দ মাহফুজুল আজিজ বলেন, “ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি স্যার ফজলের দূরদর্শী চিন্তার শ্বাশ্বত প্রমাণ হিসেবে অটল থাকবে। কেবল আনুষ্ঠানিকতায় নয়, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির গবেষণা, পাঠদান এবং পাঠ্যক্রমের মধ্যে স্যার ফজলে ও তার অবদান আজীবন বেঁচে থাকবে।”

মেজর জেনারেল (অব.) সাহুল আফজাল বলেন, “শিক্ষাক্ষেত্রে স্যার ফজলের যে অবদান তার পরিধি এতো ব্যাপক এবং বিস্তৃত যে তার সব কিছু পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে সংকলন এবং নথিভুক্ত করতে একাধিক বইয়ের প্রয়োজন হবে।” তিনি সকলকে বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মকে তার সম্পর্কে জানার ও অধ্যয়নের আহ্বান জানান।

ড. ডেভিড ডাউল্যান্ড বলেন, “স্যার ফজলের জীবনের অসাধারণ যাত্রা, একজন উদ্যোক্তা হিসেবে তার অর্জনসমূহ এবং জাতীয় থেকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ব্র্যাকের অগ্রযাত্রা আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্য বিশাল অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করে থাকে।”

অনুষ্ঠানে স্যার ফজলের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কবিতা আবৃতি এবং সঙ্গীত পরিবেশন করেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির কয়েকজন শিক্ষক। অনুষ্ঠানে ডিজিটাল ফটো প্রদর্শনীর মাধ্যমে স্যার ফজলের জীবনের স্মরণীয় মুহূর্তগুলোকে সবার সামনে তুলে ধরা হয়। আগামী সাতদিন এই ফটো প্রদর্শনী চলবে। ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্যার ফজলের বিভিন্ন অবদান তুলে ধরে বিভিন্ন আধেয় শেয়ার করেছেন।

চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকীকে স্যার ফজলে হাসান আবেদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করতে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি দিনব্যাপী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিওসহ বিভিন্ন পোস্ট শেয়ার করেছে।

এমএসএ