চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ক্যাম্পাসের গোলপুকুর সংলগ্ন পাহাড়ে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। এতে পুড়ে গেছে পাহাড়ি গাছ, লতা-গুল্ম। শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) বিকেলে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। পরে আগুন বেশ কয়েক জায়গায় ছড়িয়ে পড়লে সন্ধ্যার দিকে হাটহাজারী ফায়ার সার্ভিসের ১৭ সদস্যের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে চবির ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর শাহিদুল ইসলাম বলেন, বিকেলের দিকে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। পরে আমরা জানতে পেরে হাটহাজারী ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে তারা সন্ধ্যার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

তবে পাহাড়ে আগুন লাগার কারণ সম্পর্কে প্রক্টর বলেন, আমরা এখনো বলতে পারছি না কীভাবে হয়েছে বা কারা এ কাজ করেছে। পরে তদন্ত সাপেক্ষে আগুন লাগার কারণ বলা যাবে।

এ বিষয়ে হাটহাজারী ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. শাহাজাহান বলেন, ‘আগুন লাগার খবর শুনে আমরা ঘটনাস্থলে আসি। পাহাড়ে বিভিন্ন জায়গায় আগুন লাগায় তা নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হলেও ঘণ্টা খানেকের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

এদিকে পাহাড়ে আগুন লাগার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানামুখী মন্তব্য করছেন। 

জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. লায়লা খালেদা লিখেছেন, কিছুদিন আগেও আমাদের অনুষদের ওদিকের পাহাড়ে আগুন দেখতে পাই। এ ছাড়া গাছ আর পাহাড় কাটা যেন নিয়মিত ঘটনা। অশুভ চক্র এমন কাজ করছে। যাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা না নিলে ধ্বংস হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্য, বিনষ্ট হবে প্রাকৃতিক পরিবেশ। 

শিক্ষার্থীরা বলছেন, এভাবে পাহাড়ে আগুন লাগার ফলে যেমন করে লতা-গুল্ম পুড়ে ছাই হচ্ছে তেমন করে জ্বলে যাচ্ছে বড় গাছও। পাহাড় কাটা, বৃক্ষ নিধন, আগুন লাগার ফলের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য যেমন নষ্ট হচ্ছে তেমনি হুমকির মুখে পড়ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববৈচিত্র্য। প্রশাসনের উচিত এসব বিষয়ে কড়া নজর দেওয়া।

এসপি