ঢাবিতে কড়া নিরাপত্তায় থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে সাদামাটাভাবে ইংরেজি (গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জি, গ্রেগোরিয়ান বর্ষপঞ্জি, পাশ্চাত্য বর্ষপঞ্জি) নববর্ষকে বরণ করতে থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন করা হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে আগত শিক্ষার্থীদের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) এসে একসঙ্গে হৈ-হুল্লোড়, আনন্দ-উচ্ছ্বাস প্রকাশের মাধ্যমে রাতটি উদযাপন করা হয়। এ সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা টিএসসিতে বাইকের হর্ন বাজিয়ে নতুন বর্ষকে বরণ করে নেন।
বিজ্ঞাপন
সরজমিনে দেখা যায়, রাত ৮টা থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় জড়ো হতে থাকেন। বহিরাগতদের প্রবেশে বাধা থাকায় তারা ঢাবিতে ঢুকতে পারেনি। ফলে ক্যাম্পাস ছিল অনেকটাই শান্ত। ১২টা বাজার ১৫ মিনিট আগ থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা টিএসসিতে আসতে থাকলেও আতশবাজি ফোটানো বা ফানুস না উড়ানোয় সাদামাটাভাবেই রাতটি উদযাপন করা হয়।
বিজ্ঞাপন
তবে শিক্ষার্থীদের তুলনায় পুলিশের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে এমন পরিস্থিতিকে ‘পজিটিভ’ হিসেবে দেখছেন অধিকাংশ শিক্ষার্থী।
এদিকে, পুরনো বছরকে বিদায় এবং নতুন বছরের আগমনকে কেন্দ্র করে সন্ধ্যা থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশমুখগুলোতে ব্যারিকেড বসিয়ে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ এবং তল্লাশি চালানো হয়। যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে এ নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এবং পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
রোববার সন্ধ্যা ৬টার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় স্টিকার ও পরিচয়পত্র ছাড়া বহিরাগত কোনো ব্যক্তি বা যানবাহন প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক এলাকায় বসবাসরত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের গাড়ি নির্ধারিত সময়ের পর পরিচয় দিয়ে নীলক্ষেত এবং শাহবাগ ক্রসিং দিয়ে প্রবেশ করেছেন।
কেএইচ/এমজে