সাম্প্রতিক সময়ে বহুল আলোচিত ট্রান্সজেন্ডার ও সমকামিতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে সমাবেশ করেছে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা। 

বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) বেলা বারোটায় কলেজের মূল ফটকের সামনে এই প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। 

‘ঢাকা কলেজ ছাত্র সমাজ’ ব্যানারে আয়োজিত এই সমাবেশে কলেজের স্নাতক-স্নাতকোত্তর শ্রেণীর অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন।

এসময় শিক্ষার্থীদের ট্রান্সজেন্ডার ও সমকামিতার বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিতেও দেখা যায়।

এতে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা বলেন, দেশের নতুন শিক্ষাক্রমে একটি প্রশ্নবিদ্ধ বিষয়কে সামনে আনা হয়েছে। দেশ, জাতি এবং তরুণ সমাজকে ধ্বংস করার জন্য এসব বিষয়ের প্রবর্তন করা হচ্ছে। আবার এসব কার্যক্রম সবাইকে মুখ বুঝে সহ্যও করতে হচ্ছে। কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে নানাভাবে লাঞ্ছিত করা হচ্ছে। আমরা দেখেছি, ট্রান্সজেন্ডার ইস্যুতে সমালোচনা করায় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক আসিফ মাহতাবকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অত্যন্ত নিচু মানসিকতার পরিচয় দিয়েছেন। এই বহিষ্কারাদেশের প্রতিবাদে এবং দেশের ভবিষ্যৎ রক্ষার্থে ঢাকা কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা ঐক্যবদ্ধ। যারা ট্রান্সজেন্ডার প্রমোট করার এবং সমকামিতাকে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন এই প্রতিবাদ সমাবেশের মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের কঠোর অবস্থান জানিয়ে দিচ্ছি।

রায়হান হোসেন নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, অত্যন্ত সুকৌশলে পশ্চিমা নীল নকশা এই দেশেও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। যারা নতুন শিক্ষাক্রম প্রণেতা রয়েছেন তারা বাইরের দেশের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন। এ ধরনের শিক্ষা ক্রমের মাধ্যমে আগামী প্রজন্মকে সঠিক পথ থেকে বিচ্যুত করা হচ্ছে। কোনভাবেই সচেতন জনগণ হিসেবে আমরা এটা মেনে নিতে পারি না। সেজন্য আজ আমরা প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এরপরও যদি এসব কার্যক্রম ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয় তাহলে আমরা আরো বৃহৎ আন্দোলন গড়ে তুলবো।

প্রতিবাদ সমাবেশের প্রধান সমন্বয়ক নাজিম-উ-সাকিব বলেন, ট্রান্সজেন্ডার ও সমকামিতা বাংলাদেশে বৈধ নয়। কিন্তু একটি চক্র বিশেষভাবে উঠে পড়ে লেগেছে এসব কার্যক্রমকে বৈধ করার জন্য। আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ আমরা নষ্ট হতে দিতে পারিনা। সম্প্রতি আমরা দেখেছি, এসব বিষয় প্রতিবাদ করার কারণে ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ আমরা জানাই। সরকারকে এসব বিষয়ে স্পষ্ট বক্তব্য জানান দিতে হবে। এরপরও যদি আবারও সমকামিতা এবং লিঙ্গান্তরের এ বিষয়গুলোকে কেউ ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে তাহলে তার বিরুদ্ধে আবারো আমরা রাজপথে নেমে আসবো।

আরএইচটি/এমএসএ