জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেছেন, তৃতীয় লিঙ্গ ও ট্রান্সজেন্ডার দুটো যে ভিন্ন বিষয়, তা আমরা গুলিয়ে ফেলছি। এ দুটো বিষয়কে আমরা একাকার করে একটা মিশ্র ইনফরমেশন দিচ্ছি সমাজকে। এ দুটো ভিন্ন বিষয়কে আমরা নাটকের মাধ্যমে সমাজে ফুটিয়ে তুলতে পারি। 

রোববার (২৮ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে তিন দিনব্যাপী শুরু হওয়া নাট্যোৎসবে তিনি কথা বলেন।

উপাচার্য বলেন, আমাদের সমাজকে প্রগতিশীল সমাজ হিসেবে গড়ে তোলা, ধর্মান্ধতা নয়, অসম্প্রদায়িক বাংলাদেশ, কল্যাণমুখী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা, গণতান্ত্রিক ও মুক্তবুদ্ধির চর্চাই হলো নাটকের মূলমন্ত্র। আর এসব চর্চা করার জন্য খুব শিগগিরই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয়ভাবে একটি নাট্যোৎসবের ঘোষণা দেন উপাচার্য।

বিশিষ্ট নাট্যকার ও সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর বলেন, আমার নাটক নিয়ে কোনো প্রাতিষ্ঠানিক ডিগ্রি নেই, এ ক্ষেত্রে আমি স্বশিক্ষিত। বর্তমান সময়ে নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থীদের দেখে আমার হিংসা হয়। কারণ তারা নাটকের ক্ষেত্রে প্রায়োগিক শিক্ষাগ্রহণ করতে পারে।

তিনি বলেন, কখনো ভাবিনি যে আমি কোনো দিন নাট্যকার হবো। এটা আমার জীবনে একটি দুর্ঘটনা। আমি বৈচিত্র্যময় মানুষকে দেখে দেখে শিক্ষাগ্রহণ করি। আমাদের নাটকগুলোতে এমন কোনো চরিত্রতে সাম্প্রদায়িক, মৌলবাদ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী কোনো কিছুই খুঁজে পাওয়া যাবে না। নাটকের মাধ্যমে আমাদের সমাজে বিরাজমান চরিত্রগুলোকে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করি আমরা।  

নাট্যোৎসবে ছয়টি নাটক মঞ্চায়িত হবে। সেগুলো হলো মোহাম্মদ খোরশেদ আলম রচিত রাধামন ধনপুদি, ওরিয়ানা ফালাচ্চি রচিত লেটার টু এ চাইল্ড নেবার বর্ন, মন্মথ রায় রচিত রক্তকদম ও যমালয়ে একবেলা, বুদ্ধদেব বসু রচিত তপস্বী ও তরঙ্গিণী ও অগাস্ট স্ট্রিন্ডবার্গ রচিত মিস জুলি।

জানা যায়, বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ‘শিক্ষার্থী নাট্য নির্দেশনা’ কোর্সের অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীদের নির্দেশনায় এসব নাটক মঞ্চায়ন হবে। নাট্যোৎসবে ২৯ জানুয়ারি দুপুর ১২টায় রক্তকদম এবং সন্ধ্যা ৬টায় তপস্বী ও তরঙ্গিণী, ৩০ জানুয়ারি দুপুর ১২টায় মিস জুলি ও সন্ধ্যা ৬টায় যমালয়ে একবেলা অনুষ্ঠিত হবে। 

এমএল/কেএ