বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি কাউন্সিল নির্বাচনে (২০২৪-২৫) সদস্য পদে জয়ী হয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম। ৪৫৫ ভোট পেয়ে ১০ জন সদস্যের ভিতর চতুর্থ স্থান অর্জন করেছেন তিনি।

মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) সংগঠনের নিজস্ব কার্যালয়ে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে ভোট গ্রহণ। নির্বাচনে ৮টি পদের বিপরীতে দুটি প্যানেলে মোট ৩৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এতে মোট ভোটার সংখ্যা ১২৮৭ জন।

এছাড়া নির্বাচনে সভাপতি পদে ড. হারুন অর রশিদ, সাধারণ সম্পাদক পদে ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান, সহ-সভাপতি পদে ড. হাফিজা খাতুন, ড. সাজাহান মিয়া ও ড. ইয়ারুল কবীর, কোষাধক্ষ পদে ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ, সম্পাদক পদে ড. মো. আবদুর রহিম পাস করেছেন।

এছাড়া সদস্য পদে ড. এ কে এম গোলাম রাব্বানী, খান মাহাবুব, মো. লুৎফর রহমান, ড. সাদেকা হালিম, ড. আশা ইসলাম নাঈম, ড. আবদুল বাছির, ড. নাজমা খান মজলিস, ড. মো. আব্দুল করিম, ড. শুচিতা শরমিন ও ড. সাব্বীর আহমেদ।

এবার এশিয়াটিক সোসাইটিতে দুইটি প্যানেলে নির্বাচন হয়। নির্বাচনে মুক্তবুদ্ধি চর্চার প্যানেল ও মূলধারা প্যানেল দেওয়া হয়। মুক্তবুদ্ধিচর্চার প্যানেল থেকে সদস্য পদে ৪ জন বাদে বাকিরা মূলধারার প্যানেল থেকে জয়যুক্ত হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষকরা জানান, এ নির্বাচনে জামায়াত-বিএনপির ভোটাররা প্রভাব রেখেছে। জাতীয় নির্বাচনের মতো বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের জামায়াত-বিএনপি সমর্থিত সাদাদল শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে আসেনি। তবে এশিয়াটিক সোসাইটির নির্বাচনে তারা অংশগ্রহণ করেছে। এতে করে জামায়াত-বিএনপির সময় ভোটার হওয়া শিক্ষকরা ফলাফলের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে বলে অভিযোগ করেছেন।

প্রসঙ্গত, অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে প্রথম নারী উপাচার্য ও উপাচার্যের মেয়ে উপাচার্য হওয়ার প্রথম গৌরব অর্জন করেন তিনি। এছাড়া তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের প্রথম নির্বাচিত নারী ডিন, বাংলাদেশের প্রথম নারী তথ্য কমিশনার ছিলেন। ২০২২ সালে সাদেকা হালিম আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। 

এমএল/এসকেডি