নানা বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে ঢাকা ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটির (ডিউডিএস) নির্বাচনের নতুন তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি বিকেলে নির্বাচনের নতুন তারিখ ঘোষণা করেন ডিইউডিএসের পৃষ্ঠপোষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল।

আজ (২০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে প্রার্থীদের প্রার্থিতা জমা ও ভোটারদের আবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনী বিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে বলে ডিইউডিএস সূত্রে নিশ্চিত করা হয়।

এর আগে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নেতৃত্বে আসতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নির্দেশনা উপেক্ষা করে সংগঠনকে বিতর্কিত করার অভিযোগ উঠেছিল একদল বিতার্কিকের বিরুদ্ধে। উপাচার্যের নির্দেশনায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি ডিইউডিএসের বার্ষিক সাধারণ সভায় ১১ তারিখ এজিএম ঘোষণা ও ১৩ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পরপরই বর্জনের ঘোষণা দেয় গ্রুপটি। পরে তাদের বিরোধিতার মুখে ঘোষিত ১৩ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের পরিবর্তে ২৫ ফেব্রুয়ারি তারিখ ঘোষণা করা হয়।

এদিকে, ১৩ তারিখ নির্বাচন উপলক্ষ্যে গত ১২ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবদিক সমিতিতের কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থীরা তাদের ইশতেহার পাঠ করেন এবং পরদিন ১৩ ফেব্রুয়ারি ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে বলে ঘোষণা দেন বর্তমান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে ডিইউডিএস-এর একদল বিতার্কিকের বিরোধ দেখা দেয়। এ নিয়ে একই দিনে তারা পাল্টা সংবাদ সম্মেলন ডাকে এবং নির্বাচন বর্জন, নির্বাচনের তারিখ পেছানোসহ বেশ কয়েকটি দাবি উত্থাপন করেন। দাবিগুলো হলো :- 

১. ডিইউডিএস এর গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করে অনুষ্ঠিতব্য বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) ও নির্বাচন অনতিবিলম্বে বাতিল ঘোষণা করতে হবে।

২. ভ্রাতৃপ্রতিম হল সংগঠনগুলোর সঙ্গে সংলাপ করে সবার সহাবস্থান নিশ্চিত করার মাধ্যমে গঠনতন্ত্র মোতাবেক সব হল সংগঠনগুলোর সঙ্গে সংলাপের মাধ্যমে বার্ষিক সাধারণ সভা ও নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করতে হবে।

৩. মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি ও পক্ষপাতদুষ্ট মডারেটর প্যানেলের অধীনে নির্বাচনকে বাতিল করে সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন ঘোষণা করতে হবে।

৪. অনতিবিলম্বে মডারেটর প্যানেল ও সভাপতি/সাধারণ সম্পাদককে পদত্যাগ করতে হবে। এছাড়া তাদের অনিয়ম ও গঠনতন্ত্র পরিপন্থি এই আচরণের সুষ্ঠু তদন্ত করতে হবে।

৫. ভ্রাতৃপ্রতিম হল সংগঠনগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে মনোনয়ন ফরমের মূল্য নির্ধারণ করতে হবে।

কেএইচ/এসএম