সিলেট সিটি কর্পোরেশনের (সিসিকি) মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় গ্রিন, ক্লিন ও স্মার্ট ক্যাম্পাসের উদাহরণ। এ বিশ্ববিদ্যালয়কে অন্যান্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে সত্য ও বস্তুনিষ্ঠতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে শাবি প্রেসক্লাব। 

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) দুপুরে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন ‘শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাব’ এর ১৯তম কার্যনির্বাহী কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

১৯তম কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি নুরুল ইসলাম রুদ্রের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক হাসান নাঈমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। এতে গেস্ট অব অনার হিসেবে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রেসক্লাবের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। 

অনুষ্ঠানে কি-নোট স্পিকার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আজকের পত্রিকার সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. গোলাম রহমান। এছাড়া এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কবির হোসেন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আমিনা পারভীন, সিলেট প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকবাল সিদ্দিকী, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি হাসিনা বেগম চৌধুরী।

সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে সিসিক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, আপনারা আমাদের বুদ্ধি দেবেন, পরামর্শ দেবেন। আমরা সেই অনুযায়ী কাজ করব। এজন্য আপনাদেরকে সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের সামনে নিয়ে আসতে হবে। এতে উন্নয়নের ভারসাম্য বজায় থাকে।

স্মার্ট সিটি গঠনে তিনি বলেন, সিলেট সকল হকারদের বিক্রয়ের জায়গার সুবিধার্থে শহরের পাশে একটা জায়গার ব্যবস্থার কাজ চলছে। সিলেট সিটিকে রাজশাহী সিটির চেয়েও অধিক ক্লিন, গ্রিন ও স্মার্ট সিটি গঠন করা হবে এবং আমরা সেদিকে এগোচ্ছি।

এর আগে অতিথিবৃন্দ শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের বার্ষিক ম্যাগাজিন ‘কথন-৪’ এর মোড়ক উন্মোচন করেন।

উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের সাংবাদিকরা তাদের বস্তুনিষ্ঠ লেখনীর মাধ্যমে এ বিশ্ববিদ্যালয়কে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। শাবি প্রেসক্লাব ও শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন মিশন হচ্ছে এ বিশ্ববিদ্যালয়কে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া। এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সবার একান্ত সহযোগিতা কাম্য।

কি-নোট স্পিকার অধ্যাপক ড. গোলাম রহমান বলেন, সমাজে প্রত্যেক প্রেসক্লাবের ইন্টার্নাল পাওয়ার আছে, যেটি সমাজ উন্নয়ন ও পলিসি নির্ধারণে প্রভাব রাখে। সাংবাদিকরা হচ্ছে সমাজ গড়ার কারিগর। পেশাজীবী এই সংগঠন শুধু তথ্য সংগ্রহ করেই না, তথ্য বিশ্লেষণের পাশাপাশি জ্ঞানের জগতকে প্রসারিত করে এবং তাতে বস্তুনিষ্ঠতা বের হয়ে আসে। সমাজের সাংস্কৃতিক বিপ্লবের মূল কারিগর সাংবাদিকরা।

শাবি প্রেসক্লাব সম্পর্কে তিনি বলেন, এখানে ১৮ জন সাংবাদিক। তারা সংখ্যায় অল্প হলেও দেশব্যাপী শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ হাজার শিক্ষার্থীর প্রতিনিধিত্ব করছেন। এজন্য ক্যাম্পাসের কল্যাণে তাদের সহযোগিতা করতে হবে।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ, ছাত্র উপদেষ্টা, রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, বিভাগীয় প্রধান, দপ্তর প্রধান, হল প্রভোস্ট, বিভাগের শিক্ষক, গুণীজন, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক সংগঠন, ক্যারিয়ার ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

জুবায়েদুল হক রবিন/আরএআর