ঢাবির ট্যুরিজম বিভাগের নবীনবরণ অনুষ্ঠিত

হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সৌজন্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের বিবিএ ১৬ ব্যাচ এবং এমবিএ ৩য় ও ৪র্থ ব্যাচের নবীনবরণ ও ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (১১ মার্চ) রাজধানীর পাঁচ তারকা হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এ অনুষ্ঠান হয়। এতে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী প্রধান অতিথি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

গণপূর্তমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, সুন্দরবন বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন, অথচ স্বাধীনতার বায়ান্ন বছরেও বিশ্বের মানুষ সুন্দরবন সম্পর্কে জানে না। বাংলাদেশের পর্যটনকে শিল্প হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার প্রচেষ্টা চলছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি বিভাগের শিক্ষার্থীদের এ দায়িত্ব নিতে হবে। বিভাগের শিক্ষক, গবেষক ও শিক্ষার্থীরা পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে কার্যকরী ভূমিকা রাখবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

ঢাবি উপাচার্য বলেন, শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ জীবনের কর্মপরিকল্পনা এখন থেকেই গ্রহণ করতে হবে। নিয়মানুবর্তিতা মেনে নিষ্ঠার সঙ্গে পড়াশোনা করে দক্ষ ও সুনাগরিক হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে। পর্যটন শিল্পের বিকাশ ও উন্নয়নে ভূমিকা রাখার জন্য শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানান তিনি।

ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সন্তোষ কুমার দেব বলেন, আজ যারা আমাদের সামনে বসে আছে তারা আগামী দিনের বাংলাদেশ। বাংলাদেশের কর্পোরেট সেক্টর থেকে শুরু করে ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটিসহ দেশের সব ক্ষেত্রেই আগামী দিনে যারা নেতৃত্ব দেবে, তারা আজ আমাদের সামনে বসে আছে। এসময় তিনি হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল কর্তৃপক্ষ ও এ আয়োজনে যুক্ত থাকা সবাইকে ধন্যবাদ জানান।

বিভাগীয় চেয়ারম্যান ড. সন্তোষ কুমার দেবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মুহাম্মাদ আব্দুল মঈন, জাপানের কিউশু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. বিদ্যুৎ বরণ সাহা, বাংলাদেশ সার্ভিস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আতিকুর রহমান ও হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকার জেনারেল ম্যানেজার আশ্বনি নায়ার অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

কেএইচ/এসএসএইচ