দেশের দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইফতার মাহফিলে নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে সাধারণ শিক্ষার্থীরা গণইফতার কর্মসূচি পালন করেছে। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) তৃতীয় রমজানে খুবির সাধারণ শিক্ষার্থীরা এই গণইফতার কর্মসূচির আয়োজন করে। 

এদিন বিকেল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠে জড়ো হতে থাকে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে উৎসবমুখর হয়ে ওঠে ইফতার মাহফিল প্রাঙ্গণ।

গণইফতার কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা বলেন, সিয়াম ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। এটি মুসলিম ও ইসলামের সংস্কৃতি। কিন্তু ইফতার মাহফিলের ওপর দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার অর্থ বাঙালি মুসলিম সংস্কৃতির ওপর হস্তক্ষেপ করা। এ ধরনের কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আর এই বিধিনিষেধের প্রতিবাদস্বরূপ আজকের এই কর্মসূচি। আজকের ইফতার মাহফিলে খুবি শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিয়েছে।    

শিক্ষার্থীরা বলেন, ওই দুই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা আহ্বান জানাই, তারা যেন তাদের আদেশ প্রত্যাহার করে নেয়। আর কোনো কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেবে না, আমরা সেই প্রত্যাশা করি।

এর আগে রোববার (১০ মার্চ) প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা উল্লেখ করে ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে ইফতার পার্টি আয়োজন না করার অনুরোধ জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। এরপরের দিন সোমবার (১১ মার্চ) নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একই ধরনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নোবিপ্রবি ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে এবারের রোজায় ইফতার পার্টি আয়োজন না করার অনুরোধ জানানো হয়। এর প্রতিবাদস্বরূপ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসংগঠনগুলো গণইফতার কর্মসূচি পালন করছে। এরই ধারাবাহিকতায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা এই কর্মসূচি পালন করা হয়।  

মোহাম্মদ মিলন/এএএ