জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রীকে যৌন হয়রানি, অনৈতিক সম্পর্কের প্রস্তাবনার অভিযোগ, শিক্ষকের বিরুদ্ধে সহকর্মীদের সঙ্গে অসদাচরণ, শিক্ষকদের পদোন্নতি ও নিয়োগসহ দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকা বিষয় নিয়ে ৯৫তম সিন্ডিকেটে আলোচনা হয়েছে।

বুধবার (৩ এপ্রিল) সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত  বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সভা কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভা সূত্রে জানা যায়, শিক্ষার্থীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন ও যৌন হয়রানির অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এবিএস মানিক মুনশি। তার বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্তে করা ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের একাধিক সদস্য। এছাড়াও এসব অভিযোগগুলো উচ্চতর তদন্তের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন ও প্রতিরোধ সেলে অভিযোগ পাঠানো হয়েছে। 

এছাড়াও ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের প্রভাষক আবু শাহরিয়ার ইমনকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে আগেই। তার বিরুদ্ধে আসা তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযোগের প্রমাণ মিলেছে। তবে তাকে কেন স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না তা জানতে চেয়ে এবার নোটিশ দেওয়া হয়েছে। উপাচার্যের গঠিত তদন্ত বোর্ডের রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।  

এছাড়াও ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষক আবু সালেহ সেকেন্দারের বিরুদ্ধে শিক্ষকদের নিয়ে অশোভন মন্তব্য, কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য ও অ্যাকাডেমিক কাজে অসহযোগিতার অভিযোগে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন বিস্তারিত পর্যালোচনা করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এসব রিপোর্টে কোনো সংযুক্তি না থাকায় পুনরায় রিপোর্ট খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছ। বিষয়টি নিয়ে পুনরায় পর্যালোচনা করার নির্দেশ দিয়েছে সিন্ডিকেট। 

এদিন সিন্ডিকেটে শিক্ষকদের পদন্নোতি, নিয়োগসহ নানা বিষয়াবলী উত্থাপিত হয়। এর মধ্যে ত্রুটিপূর্ণ বিষয়াবলী প্রত্যাহার হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরনো জমে থাকা সকল কাজ দ্রুত সমাধান করতে দ্রুত সময়ে সিন্ডিকেট সভা করছে প্রশাসন। এ নিয়ে গত চার মাসে তিনটি সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও সিন্ডিকেট সভাপতি অধ্যাপক ড.সাদেকা হালিম বলেন, সাবেক উপাচার্যের দীর্ঘদিন অসুস্থতা ও তার মৃত্যুর পর অনেকদিন পদ শূন্য থাকায় জটিলতা বেড়েছিল। পুরনো সমস্যাগুলোর তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। জটিলতা দূর করতে পুরনো তদন্ত কমিটিগুলোতে গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে।

এমএল/এসকেডি