বাসচাপায় চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় টানা চতুর্থদিন আন্দোলনের পর ক্লাসে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চুয়েট শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক অবরোধও স্থগিত করেন তারা।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টা থেকে ১১টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ২০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের সাথে বৈঠক করেন চুয়েট প্রশাসন। বৈঠকের পরে আন্দোলন স্থগিত ও ক্লাসে ফেরার সিদ্ধান্তে আসেন শিক্ষার্থীরা।

বৈঠক শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে শিক্ষার্থীরা জানান, শাহ আমানত পরিবহনের বাস চালককে গ্রেপ্তারের দাবি পূরণ হয়েছে। আর দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় ক্ষতিপূরণে  বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তহবিল গঠন করবে। এখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সহযোগিতা করবেন। এ ছাড়া ক্যাম্পাসের সামনের চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের রাস্তা প্রশস্তের কাজ দ্রুত সময়ের মধ্যে শুরু হওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। এসব বিষয়ে আশ্বাসের ফলে আন্দোলন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এর আগে দুপুরে চুয়েটের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের ১৫১তম জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণার সিদ্ধান্ত জানানো হয়। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ প্রদান করা হয়। এতে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে শিক্ষার্থীরা সড়কের কয়েকটি বাসে আগুন লাগিয়ে দেন। পরে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে তালা দেন। এতে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও রেজিস্ট্রার আটকা পড়েন। পরে রাতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ৩ ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে শিক্ষার্থী আন্দোলন স্থগিত করার বিষয়ে সিদ্ধান্তে আসেন।

প্রসঙ্গত, সোমবার (২২ এপ্রিল) আনুমানিক বিকাল ৪টায় রাঙ্গুনিয়া উপজেলার চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে বাসের ধাক্কায় চুয়েটের দুই শিক্ষার্থী নিহত হন ও একজন আহত হন।

নিহতের একজন চুয়েট পুরকৌশল বিভাগের ২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী শান্ত সাহা, অপরজন একই বিভাগের ২১ ব্যাচের শিক্ষার্থী তৌফিক হোসেন। এ ঘটনায় আহত জাকারিয়া হিমু পুরকৌশল বিভাগের ২১ ব্যাচের শিক্ষার্থী। তিনি বর্তমানে চট্টগ্রামের বেসরকারি হাসপাতাল এভারকেয়ারে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

আতিকুর রহমান/পিএইচ