সরকারের সর্বজনীন পেনশনের প্রজ্ঞাপন জারির সিদ্ধান্তকে বৈষম্যমূলক উল্লেখ করে তা প্রত্যাহারের দাবিতে কালোব্যাজ ধারণ ও মৌনমিছিল করেছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) শিক্ষক সমিতি। এ সময় আগামী দুই দিন (বুধবার ও বৃহস্পতিবার) অর্ধদিবস কর্মবিরতির ঘোষণা করা হয়। দাবি আদায় না হলে সামনে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারি দেন আন্দোলনে উপস্থিত শিক্ষক নেতৃবৃন্দ।

মঙ্গলবার (১৪ মে) বেলা সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি সংলগ্ন আমতলায় মৌন মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের দেড় শতাধিক শিক্ষকবৃন্দ। কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন বাকৃবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও ফিশারিজ বায়োলজি ও জেনেটিক্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরদার।

এসময় বক্তারা বলেন, এটি আমাদের শিক্ষকসমাজের জন্য একটি ঘৃণিত প্রজ্ঞাপন। বিশ্ববিদ্যালয়কে মেধাশুন্য করার একটি অপপ্রয়াস। এই প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসনকে হরণ করা হয়েছে বলে দাবি করেন তারা।

এসময় গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের একাংশের সভাপতি সুভাষ চন্দ্র দাস বলেন, এই আন্দোলন কোনো ব্যক্তি কিংবা সংগঠনের নয়। উন্নত দেশ, উন্নত জাতি গঠনের লক্ষে এই আন্দোলন পুরো দেশের।

এসময় ড. রফিকুল ইসলাম সরদার জানান, আগামী দুই দিন অর্ধদিবস কর্মবিরতি থাকবে। এসময় সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা ব্যতীত অন্যান্য সকল ক্লাস ও পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে না। পাশাপাশি বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের লাইব্রেরির সামনে আমতলায় অবস্থান এবং আন্দোলনের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য বলেন।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি সব স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থায় আগামী জুলাই থেকে যোগ দেওয়া চাকরিজীবীদের সর্বজনীন পেনশনে যুক্ত হওয়া বাধ্যতামূলক করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। তারা বিদ্যমান পেনশনের বদলে সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি ‘প্রত্যয়’ স্কিমে অন্তর্ভুক্ত হবেন। তবে দীর্ঘদিন ধরেই সার্বজনীন পেনশন বাতিলের দাবিতে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন বাকৃবির শিক্ষকেরা।

মুসাদ্দিকুল ইসলাম তানভীর/এমএএস