সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বের জেরে বাকৃবিতে সংঘর্ষ, আহত ৫
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) সিনিয়র-জুনিয়র শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটেছে। গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাজমুল আহসান হলে ওই সংঘর্ষ হয়। এতে ৫ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ৪ জনকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল আলম জানিয়েছেন এ ঘটনায় ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠনা করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
একাধিক সূত্র থেকে জানা যায়, শহীদ নাজমুল আহসান হলের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের মারধর করেন তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা। এর জেরে হলের সিনিয়রদের ওপর ক্ষিপ্ত ছিলেন দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার হলের সিনিয়রদের সাথে সংঘর্ষে জড়ান তারা। এ সময় অন্যান্য হল থেকে বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীরা ঝামেলা মেটাতে এলে তাদের ওপরও চড়াও হন দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা। সংঘর্ষের সময় জানালার কাঁচও ভাঙচুর করেন শিক্ষার্থীরা।
অন্য একটি সূত্র জানিয়েছে, কিছুদিন ধরে নাজমুল আহসান হলের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রলীগের কর্মীদের সাথে ছাত্রলীগের অন্যান্য বর্ষের শিক্ষার্থীদের হলের সিট সংক্রান্ত কারণে কোন্দল চলে আসছিল। এরই জেরে মঙ্গলবার কথা কাটাকাটি থেকে এক পর্যায়ে ঘটনা সংঘর্ষে রূপ নেয়।
বিজ্ঞাপন
সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে একজনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল আলম।
তিনি বলেন, কী কারণে ঘটনাটি ঘটেছে আমি এখন বলতে পারছি না। আমরা চার সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। তদন্ত সাপেক্ষে জানা যাবে ঘটনা কী ঘটেছে। এ ব্যাপারে সবার সহযোগিতা কামনা করছি। আর আমার জানা মতে এই ঘটনায় পাঁচ জনের মতো আহত হয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের হেলথ কেয়ার সেন্টারের ডেপুটি চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. পার্থ সেন বলেন, আমার কাজ শুরু হয়েছে রাত ৯টা থেকে। আমার আগে বিকেল ৩টা থেকে ডিউটিতে ছিলেন ড. মো. সাদিকুল ইসলাম খান। ডা. সাদিকুল ইসলাম আমাকে যতটুকু জানিয়েছেন তাতে আহত অবস্থায় কোনো শিক্ষার্থী হেলথ কেয়ারে আসেননি। শিক্ষার্থীরা অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে নিজেরাই হয়তো ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চলে গিয়েছেন, এমনটিই জানিয়েছেন আমাকে ডা. সাদিকুল।
আরও পড়ুন
তবে এ বিষয়ে জানার জন্য ডা. সাদিকুল ইসলামের সাথে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
ঘটনার বিষয়ের বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. মো. আরিফ সাকিল বলেন, হলের নিয়ম-শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির কারণে ওই ঘটনার সাথে জড়িত দ্বিতীয় বর্ষের চারজন শিক্ষার্থীকে প্রক্টরিয়াল বডির কাছে হস্তান্তর করেছেন হল প্রভোস্ট। বর্তমানে তারা কোতোয়ালি থানায় পুলিশের হেফাজতে আছেন। পরবর্তীতে তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মুসাদ্দিকুল ইসলাম তানভীর/এনএফ