যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) থেকে সর্বপ্রথম একজন বিদেশি শিক্ষার্থীকে পিএইচডি ও আরেকজন শিক্ষার্থীকে এমফিল ডিগ্রির অনুমোদন দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম রিজেন্ট বোর্ড।

রোববার (৯ মে) দুপুরে যবিপ্রবির প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে রিজেন্ট বোর্ডের ৬৭তম সভায় তাদের এ ডিগ্রি অনুমোদন দেওয়া হয়। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলে তাদের ডিগ্রির অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈশ্বিক মহামারির কারণে সদস্যদের অনেকে ভার্চুয়ালি ও অনেকে সশরীরে রিজেন্ট বোর্ডের সভায় অংশ নেন। 

যবিপ্রবি উপাচার্য ও রিজেন্ট বোর্ডের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, এ রিজেন্ট বোর্ডটি যবিপ্রবির জন্য একটি ইতিহাস সৃষ্টির মাইলফলক হয়ে থাকবে। কারণ প্রথমবারের মতো একজন বিদেশি শিক্ষার্থীকে পিএইচডি ও একজন সামরিক কর্মকর্তাকে এ বিশ্ববিদ্যালয় এমফিল ডিগ্রি অনুমোদন দিয়েছে। এ সময় তিনি দুজন শিক্ষার্থী ও তাদের সুপারভাইজারদের ধন্যবাদ জানান।

রিজেন্ট বোর্ড সভার শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বশেষ পরিস্থিতি তুলে ধরেন যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় মাত্র ৩৫ একর আয়তনের একটি বিদ্যাপীঠ। ২০০৮-০৯ শিক্ষাবর্ষ থেকে এখানে শিক্ষা কার্যক্রম আরম্ভ হয়। ছোট্ট আয়তন আর বয়সে নবীন হলেও এ বিশ্ববিদ্যালয়টি শিক্ষা ও গবেষণাক্ষেত্রে অনন্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। নানা বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে সেশনজট মুক্ত শিক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের গবেষণা ও উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করা হয়।

তিনি বলেন, করোনার সময় দেশের প্রথম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে করোনা পরীক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। শিক্ষা ও গবেষণাক্ষেত্রে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এখন বাংলাদেশের এক অনুকরণীয় উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। 

তিনি আরও জানান, ২০১৭ সালের ২০ মে তিনি এ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। সেই হিসেবে আগামী ১৯ মে তার দায়িত্ব শেষ হতে যাচ্ছে। 

যবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত রিজেন্ট বোর্ডের সভায় যবিপ্রবির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আব্দুল মজিদ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিশ্ববিদ্যালয়) এ কে এম আফতাব হোসেন প্রামানিক, যুগ্ম সচিব (উন্নয়ন-৩) সৈয়দা নওয়ারা জাহান, সাভারের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজির মহাপরিচালক ড. মো. সলিমুল্লাহ, যশোরের আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ড. কাওছার উদ্দিন আহম্মদ, বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. গোলাম শাহি আলম, জাহাঙ্গীর বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. শরীফ এনামুল কবির, ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিউটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. এম. এ. রশীদ অংশ নেন।

এছাড়াও যবিপ্রবির ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন বায়োসায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আনিছুর রহমান, কেমিকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. বিপ্লব কুমার বিশ্বাস, অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল কবীর জাহিদ, বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির সভাপতি শেখ কবির হোসেন, সরকারি এম এম কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আব্দুল মজিদ, সরকারি সিটি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আশরাফ-উদ-দৌলা, রিজেন্ট বোর্ডের সচিব ও যবিপ্রবির রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীব প্রমুখ অংশ নেন।

ওএফ