রাবি শিক্ষার্থীদের তিনদফা দাবি
রাজশাহীতে আড়াই ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক
রেললাইন অবরোধ প্রত্যাহার করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ভর্তি পরীক্ষা বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। তাই জনভোগান্তি বিবেচনা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে তিনদফা দাবি জানিয়ে তারা এই অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন।
বুধবার (৫ মার্চ) দুপুর ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের ২০১৯-২০২০ সেশনের শিক্ষার্থী মেহেদী সজীব তিনদফা দাবি তুলে ধরে এই অবরোধ প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।
বিজ্ঞাপন
শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি হলো—নিয়োগে বিকেন্দ্রীকরণ ও সমান সুযোগ নিশ্চিত করা। ইউজিসি, সরকারি নিয়োগ পরীক্ষাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে শুধু ঢাবির প্রভাব কমিয়ে সারা দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। পিএসসি ও ইউজিসির পুনর্গঠন: পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি) এবং ইউজিসিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একক আধিপত্য বন্ধ করে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে। ঢাকা কেন্দ্রিকতা কমিয়ে প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণ: সরকারি ও প্রশাসনিক কার্যক্রম শুধু ঢাকাকেন্দ্রিক না রেখে অন্যান্য বিভাগীয় শহর ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সমানভাবে ছড়িয়ে দিতে হবে।
এদিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশন এলাকায় তারা এই অবরোধ শুরু করেন। এ সময় ডিসেন্ট্রালাইজড বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ও ঢাবি কেন্দ্রীকতার প্রতিবাদে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় স্টেশন বাজার-সংলগ্ন রেললাইন অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা।
বিজ্ঞাপন
আন্দোলনকারীদের দাবি, ইউজিসি থেকে শুরু করে উপদেষ্টা নিয়োগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ঢাকা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিপত্য রয়েছে। তারা সারা দেশে সমান সুযোগ নিশ্চিত করার দাবি জানান এবং সব ক্ষেত্রে বিকেন্দ্রীকরণ চান।
এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক মেহেদী সজিব বলেন, আমরা ঢাকাকেন্দ্রিক নিয়োগ ব্যবস্থার অবসান চাই। বাংলাদেশকে ঢাকা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিকতা থেকে মুক্ত করতে হবে। ইউজিসি থেকে শুরু করে উপদেষ্টা নিয়োগ—সব ক্ষেত্রে ঢাবির একচেটিয়া আধিপত্য রয়েছে। আমরা এই নিয়োগ ব্যবস্থা মানি না। পিএসসি থেকে ইউজিসি পর্যন্ত সবকিছুর পুনর্গঠন চাই।
এর আগে, মঙ্গলবার দিবাগত রাতে একই দাবিতে রাবি ক্যাম্পাসের ভেতরে বিক্ষোভ মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা।
জুবায়ের জিসান/এএমকে