ধর্ষকদের শাস্তি চান ঢাবির রাষ্ট্র ও ভাষাবিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা
সম্প্রতি সারাদেশে ধর্ষণ ও নারী নিপীড়নের ঘটনায় অপরাধীদের দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ ও ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
রোববার (৯ মার্চ) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য ও অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে পৃথক দুই বিক্ষোভ সমাবেশে তারা এ দাবি জানান। সমাবেশে দুটি বিভাগের কয়েকশ শিক্ষার্থী এবং বেশ কয়েকজন শিক্ষক সংহতি জানান এবং বিক্ষোভ সমাবেশে যোগ দেন।
বিজ্ঞাপন
এসময় তারা- ‘We want we want, Justice Justice’, ‘we want Justice, hang the rapist’; ‘আমার সোনার বাংলায়, ধর্ষকদের ঠাঁই নাই’; ‘তুমি কে আমি কে, আসিয়া আসিয়া’; ‘আমার বোন তোমার বোন, আসিয়া আসিয়া’; ‘আমার বোনের কান্না, আর না আর না’; ‘একটা একটা ধর্ষক ধর, ধরে ধরে কবর দে’; ‘রশি লাগলে রশি নে, ধর্ষকদের ফাঁসি দে’; ‘ধর্ষকদের কালো হাত, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’; ‘২৪ এর বাংলায়, ধর্ষকদের ঠাঁই নাই’; ‘জাহাঙ্গীর করে কি? খায় দায় ঘুমায় নাকি?’- ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
বিজ্ঞাপন
সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সাব্বির আহমেদ বলেন, সারাদেশে নারীদের উপর ধর্ষণের নামে যে নারকীয় নির্যাতন চলছে তার জন্য আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি এবং প্রতিবাদ জানাচ্ছি। গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী দেশে সহিংসতা হতে পারে, কিন্তু নারীদের প্রতি যে সহিংসতা চলছে তা কোনোভাবেই কাম্য নয়। নারীদের প্রতি এ সহিংসতা প্রতিরোধ না করতে পারলে দেশে গণতন্ত্রের সফলতা আসবে না।
তিনি বলেন, কঠোর কণ্ঠে দৃঢ়ভাবে নারীর সঙ্গে ঘটে যাওয়া সব ধর্ষণ নিপীড়নের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে হবে। এ সহিংসতা প্রতিরোধ করতে রাজনৈতিক দলগুলোকেও এগিয়ে আসতে হবে। প্রয়োজনে দর্শকদের প্রকাশ্যে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজী মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন, বিপ্লব পরবর্তী সময়ে নারীদের প্রতি চলমান নিপীড়ন ও ধর্ষণের প্রতিবাদ করা সবার কর্তব্য। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশের নাগরিক ও গণতান্ত্রিক সংগ্রাম করছে দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনতে। আবারও সংগ্রাম হবে নারীদের উপর ঘটে যাওয়া নিপীড়নের বিরুদ্ধে।
ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আকিব মাহমুদ বলেন, আমরা ধর্ষকদের কোনো বিচার হতে দেখছি না। আমরা ধর্ষকদের এমন বিচার চায় যার ফলে কেউ ধর্ষণের কথা চিন্তাও না করে। আমার বাড়ির মা-বোন বাইরে গিয়েও নিরাপদ থাকবে এমন নিশ্চয়তা আমরা চাই।
কেএইচ/জেডএস