সমাবেশে বক্তব্য দিচ্ছেন নুরুল হক নুর

করোনাভাইরাসের কারণে বন্ধ থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আর একদিনও দেরি না করে খুলে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর।

বুধবার (৬ জানুয়ারি) বিকেলে সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষাঙ্গনে বর্তমান সঙ্কট মোকাবিলার দাবিতে আয়োজিত এক সমাবেশে এ আহ্বান জানান তিনি। অধিকার পরিষদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উদ্যোগে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

নুর বলেন, বিভিন্ন দেশে ধাপে ধাপে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হয়েছে। সংক্রমণের হার বিবেচনা করে কখনও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে। প্রয়োজনে শিক্ষা কার্যক্রমের মেয়াদ কমিয়ে আনতে হবে। পাঁচ দিনের পরিবর্তে সেটা তিনদিন করে দেয়া যেতে পারে। একই বর্ষের শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন শিফটে ভাগ করে ক্লাস নেয়া যেতে পারে। শিক্ষা কার্যক্রম আর একটা দিনের জন্য বন্ধ রাখা যাবে না।

হল খোলার দাবিতে টানা ১৫ দিনের অবস্থান কর্মসূচির বিষয়ে তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থীও যদি আন্দোলন করে সেটা আন্দোলন। টানা ১৫ দিন অবস্থান করার পরও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কোনো হস্তক্ষেপ না থাকা দুঃখজনক। করোনা মহামারি আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে শিক্ষার উন্নয়ন। শিক্ষা ব্যবস্থার দিকে নজর দিতে হবে, দলীয় বিবেচনায় ভিসি (উপাচার্য) নিয়োগ বন্ধ করতে হবে।

ডাকসু নির্বাচন প্রসঙ্গে সাবেক ভিপি বলেন, ডাকসু নির্বাচন যেন একটিবারের জন্যও বন্ধ না হয় সেদিকে আপনাদের সতর্ক থাকতে হবে। শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করতে এবং নিজেদের যোগ্যতাকে তুলে ধরতে ছাত্রলীগসহ সবাই ডাকসু নির্বাচনের জন্য প্রশাসনকে চাপ দিতে হবে। ক্যাম্পাস খোলার পর ডাকসু নির্বাচনের জন্য আন্দোলনে সরব থাকার জন্য আপনাদের অনুরোধ করছি।

টিএসসির সংস্কার প্রসঙ্গে নুর বলেন, টিএসসির সংস্কারকে আমরা সাধুবাদ জানাই। তবে টিএসসির যে ঐতিহ্য রয়েছে সেটা অক্ষুণ্ণ রেখে সংস্কার করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বলব, আপনারা নিজেদের মতো সিদ্ধান্ত নেবেন না। যাই করা হোক না কেন, ছাত্র-শিক্ষক সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন।

হলখোলাসহ চার দাবিতে টানা ১৫ দিন অবস্থান শেষে ছাত্র অধিকার পরিষদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাবি শাখার সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, সাংগঠনিক সম্পাদক রাসেল মাহমুদ, নাগরিক ছাত্র ঐক্য সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম প্রমুখ।

উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের কারণে গত ১৭ মার্চ থেকে দেশের স্কুল-কলেজসহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। 

হৃদয়/এফআর