ঢাবি উপাচার্য কার্যালয়ের সামনে অবস্থান ও সমাবেশ করেছে প্রগতিশীল ছাত্র জোট

স্বাস্থ্যবিধি মেনে হল খুলে পরীক্ষা নেওয়াসহ তিন দাবিতে পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কার্যালয়ের সামনে অবস্থান ও সমাবেশ করেছে প্রগতিশীল ছাত্র জোট।

জোটের অন্য দাবি দুটি হলো, বছরের সব বেতন-ফি মওকুফ এবং টিএসসির বর্তমান অবকাঠামো সংরক্ষণ করা।

বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে প্রায় দেড় ঘণ্টা উপাচার্য কার্যালয়ের বাইরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন জোটের নেতাকর্মীরা। এর আগে একই দাবিতে ৩১ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন এবং ৫ জানুয়ারি সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যে সংহতি সমাবেশ করে সংগঠনটি।

সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক রাগিব নাঈম বলেন, আমরা পরীক্ষা নিতে নিষেধ করছি না, আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে হল খুলে পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। কেননা, যদি হল খোলা না হয় বেশিরভাগ শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে সক্ষম হবে না। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সব শিক্ষার্থীর কথা ভাবছে না। তারা সবাইকে সমানভাবে দেখছে। দাবিগুলো না মানা হলে আরও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হবে।

সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহ-সভাপতি সাদিকুল ইসলাম বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের অভিভাবক সুলভ আচরণ তো করছেই না, বরং তারা শিক্ষার্থীদের দমনে ব্যস্ত। আন্দোলন ছাড়া প্রশাসনের এমন আচরণ রুখে দেওয়া যাবে না। আসুন সবাই কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলি। আমাদের দাবিগুলো মানতে বাধ্য করি।

সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সংগঠক লাভনী বন্যা বলেন, আমরা বারবার আসি, বারবার দাঁড়াই আমাদের দাবিগুলো পূরণ হয় না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সবসময় শিক্ষার্থীদের দাবিগুলোকে উপেক্ষা করে। প্রশাসন টিএসসির ঐতিহ্য ধ্বংস করে নতুন ভবন তৈরি করতে চাচ্ছে অথচ শিক্ষার্থীদের থাকার জায়গা নিয়ে কোনো মাথা ব্যথা নেই। প্রশাসনের সকল অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন চলবে।

সমাবেশ শেষে ৮ জানুয়ারি থেকে থেকে তিন দাবিতে গণস্বাক্ষর এবং ১২ জানুয়ারি উপাচার্য কার্যালয়ের সামনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কুশপুত্তলিকা দাহ করার ঘোষণা দিয়েছেন প্রগতিশীল ছাত্র জোট ঢাবি শাখার সমন্বয়ক সোহাইল আহমেদ শুভ।

ছাত্র ইউনিয়ন ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক রাগিব নাঈমের সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যদের মধ্যে ছাত্র ইউনিয়ন ঢাবি শাখার সহ-সাধারণ সম্পাদক মেঘমল্লার বসু, ছাত্রফ্রন্টের সংগঠক আরাফাত সাদ বক্তব্য রাখেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের সঙ্গে তাদের কোনো আলোচনা হয়নি।

এমএইচএস