চাকসুর ভোটগ্রহণ শেষে মব সৃষ্টি করেছে ছাত্রদল : শিবির
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু), হল ও হোস্টেল সংসদ নির্বাচনের পর ছাত্রদল মব সৃষ্টি করেছে বলে অভিযোগ তুলেছেন ছাত্রশিবির সমর্থিত সম্প্রীতি শিক্ষার্থী জোট প্যানেলের ভিপি প্রার্থী ইব্রাহিম হোসেন রনি।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় চাকসু ভবনে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব অভিযোগ করেন।
বিজ্ঞাপন
সংবাদ সম্মেলনে রনি সাতটি অভিযোগ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, চাকসু নির্বাচনে ব্যবহৃত কালি অমোচনীয় হওয়া উচিত ছিল, কিন্তু দেখা গেছে সেই কালি উঠে যাচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের আরও সতর্ক হওয়া প্রয়োজন ছিল।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, আইডি ভবনের ২১৪ নম্বর কক্ষে প্রিজাইডিং অফিসারের স্বাক্ষর ছাড়াই ১০ থেকে ১৫টি ব্যালট পেপার ব্যালট বক্সে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। পরে ওই প্রিজাইডিং অফিসার স্বীকার করেছেন, তার অসতর্কতার কারণেই এটি ঘটেছে। এ ধরনের অসতর্কতার জন্য তাকে জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।
বিজ্ঞাপন
রনি দাবি করেন, আলাওল হলের ছাত্রদল সমর্থিত জিএস প্রার্থী নূরনবীসহ আরও অনেক বহিরাগতকে বিশ্ববিদ্যালয়ে দেখা গেছে। অথচ পরিচয়পত্র ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ নিষিদ্ধ। প্রশাসন বহিরাগত ঠেকাতে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম তুহিন ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রদলের সেক্রেটারি সরওয়ার হোসেন রুবেলের নেতৃত্বে শতাধিক ছাত্রদল ও যুবদলের নেতাকর্মী এক নম্বর রেলগেট এলাকার রফিক ছাত্রাবাসে অবস্থান নেয়। বিষয়টি গণমাধ্যমে একাধিকবার প্রচার হলেও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
আরও পড়ুন
রনি অভিযোগ করে বলেন, শহীদ তরুয়া ভবনের এফ রহমান এবং আলাওল হলের এলইডি স্ক্রিন দুই ঘণ্টা বন্ধ ছিল। বিজ্ঞান অনুষদের এলইডি স্ক্রিন অধিকাংশ সময় বন্ধ ছিল। বারবার জানানো হলেও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদে এক বোন ভোট দিতে পারেননি বলে অভিযোগ করেছেন।
ভিপি প্রার্থী রনি আরও অভিযোগ করেন, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদে ভোটগ্রহণ শেষে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা মব সৃষ্টি করে। এতে ভোটের শান্ত পরিবেশ অশান্ত হয়ে ওঠে, অথচ প্রশাসন নিরব ছিল। আমরা মৌখিক ও লিখিতভাবে তা জানালেও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।
এর আগে সকাল ৯টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিকেল ৪টায় শেষ হয়। এবারের নির্বাচনে ওএমআর পদ্ধতিতে ভোট নেওয়া হয়। ভোট গণনার ফলাফল সরাসরি দেখানোর জন্য ১৪টি এলইডি স্ক্রিন স্থাপন করা হয়।
চাকসুর ২৬টি পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪১৫ জন প্রার্থী এবং হল ও হোস্টেল সংসদের ২৪টি পদের জন্য লড়ছেন ৪৯৩ জন। মোট ভোটার সংখ্যা ২৭ হাজার ৫১৬ জন।
আতিকুর রহমান/এআরবি