রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল ও সিনেট নির্বাচনে ভোটাদানে শিক্ষার্থীদের আঙুলে যে কালি দেওয়া হচ্ছে, সেটি ‘মুছে যাচ্ছে’ বলে অভিযোগ করেছেন ছাত্রদল ও কয়েকজন শিক্ষার্থী। এমন অভিযোগের প্রসঙ্গে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ড. সালেহ হাসান নকীব বলেছেন, ‘আমি বলব, আপনি যদি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কালি লাগানো মাত্র ঘষাঘষি না করেন, একটু শুকানোর সময় দিন, কালি উঠবে না, ইনশাআল্লাহ।’

অন্যদিকে রাকসু নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক এফ. নজরুল ইসলাম বলেছেন, অমোচনীয় কালি কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়। এটি শুধুমাত্র অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা হিসেবে রাখা হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা অমোচনীয় কালি ব্যবহার করেছি মূলত ডাকসু ও জাকসু নির্বাচনে এটি ব্যবহার করা হয়েছিল। কেউ যদি চিহ্ন দেওয়ার পরপরই পানি বা কোনো রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে ঘষে, তাহলে কালি মুছে যেতে পারে। তবে আমরা চারস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি—যার মধ্যে ভোটার তালিকার সঙ্গে ভোটারদের নাম ও ছবি মিলিয়ে দেখা, তাই জাল ভোট বা একাধিকবার ভোট দেওয়ার কোনো ঝুঁকি নেই।

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকালে ৯টা ১৫ মিনিটের দিকে, ভোট দেওয়ার পরপরই কয়েকজন শিক্ষার্থী ভোটকেন্দ্র থেকে বের হয়ে দাবি করেন যে তাদের আঙুলে লাগানো কালি অমোচনীয় নয়।

ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের সাংস্কৃতিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল কাফী নিজের আঙুলের কালি মুছে যাওয়ার চিত্র দেখিয়ে অভিযোগ করেন, আমি হাবিবুর রহমান হলের ভোট কেন্দ্রে ভোট দিয়েছি। দেখেন কালি মুছে গেছে। পানিও দিতে হয়নি।

এএইচআর/জেডএস