ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের উদ্যোগে ‘ভিশনএক্স : এআই পাওয়ার্ড ন্যাশনাল ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক জাতীয় প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

শনিবার (১৫ নভেম্বর) নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. উপমা কবির এবং ইউএস-বাংলা গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. আবদুল্লাহ আল মামুন বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।

বক্তব্যে আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘আমরা এ ধরনের প্রতিযোগিতায় ইনভেস্ট করতে চাই। আমরা দেশের ২২ থেকে ২৫ বছরের শিক্ষার্থীদের জন্য ইনভেস্ট করতে চাই। এটাই ইউএস-বাংলার শুরু। এরাই এক সময় বিলিয়নিয়ার হবে। ইউএস-বাংলা আজকে সম্ভবত সবচেয়ে বড় টেকনোলজি ফার্ম। আমরা ইউনিভার্সিটি শিক্ষার্থীদের উপর ইনভেস্ট করব, তাদেরকে টেকনোলজি ইন্ডাস্ট্রিতে এক্সপার্ট করার জন্য। সত্যিকার অর্থে দেশের উন্নয়ন ও পরিবর্তন তরুণদের হাত ধরেই আসবে।’

তিনি বলেন, ‘টেকনোলজির যেকোনো ক্ষেত্রে ইউএস-বাংলা থাকবে। বাংলাদেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মাধ্যমে যেসব টেকনোলজি আছে, সেখানে প্রোডাক্টকে অবশ্যই বিজনেসে রূপান্তর করতে হবে। এসব শিক্ষার্থীরাই একদিন চিফ এক্সিকিউটিভ হবে, তারাই বিলিয়ন ডলারের মালিক হবে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা বলেন, বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির যুগে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার গুরুত্ব প্রতিনিয়ত বাড়ছে। স্বাস্থ্যসেবা, খাদ্য উৎপাদন এবং প্রক্রিয়াজাতকরণে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার বৃদ্ধির উপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন। 

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক জাতীয় প্রতিযোগিতা আয়োজনের জন্য সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে। শিল্পখাতের সৃজনশীলতা বৃদ্ধি এবং একাডেমিয়া ও ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে সংযোগ আরও সুদৃঢ় করার ক্ষেত্রে এ ধরনের কর্মসূচি সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। প্রযুক্তিতে দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে তরুণরা বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও শক্তিশালী দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

প্রতিযোগিতার ‘ভিশনএক্স’-এ দুটি ট্র্যাক ছিল। বিজনেস আইডিয়া ট্র্যাকে ৪১টি উদ্ভাবনী ব্যবসায়িক ধারণা উপস্থাপন করা হয়। প্রজেক্ট শোকেসিং ট্র্যাকে এআই-ভিত্তিক প্রকল্প ও উদ্ভাবন প্রদর্শন করা হয়। দেশ-বিদেশের ৩৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪১টি দল এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।

এসএআর/জেডএস