হাসিনার সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে ঢাবিতে ছাত্রশক্তির মশাল মিছিল
গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মশাল মিছিল করেছে জাতীয় ছাত্রশক্তি।
রোববার (১৬ নভেম্বর) রাতে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা রাজধানীর শাহবাগ থেকে মশাল মিছিল নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে।
বিজ্ঞাপন
সমাবেশে জাতীয় ছাত্রশক্তির কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদ আহসান বলেন, আমরা আজ এখানে দাঁড়িয়েছি গত ১৬ বছর বিএনপির নেতাকর্মী এবং জামায়াত-শিবিরের ওপর আওয়ামী লীগ যে নির্যাতন চালিয়েছে, তার বিচার চাইতে। আমরা এখানে দাঁড়িয়েছি জুলাইয়ের ১৫০০ শহীদের পরিবারের পক্ষে। আমরা শাহবাগ কায়েম করতে আসিনি, আমরা বিচার চাইতে এসেছি। আমরা বিচার বিভাগের স্বাধীনতায় কোনো রকমের হস্তক্ষেপ করতে চাই না। তবে আমরা চাই, বিচার বিভাগ গত ১৬ বছরে যতগুলো শাহাদতের ঘটনা ঘটেছে, যতগুলো গুলি চলেছে, যতগুলো মায়ের বুক খালি হয়েছে, সেই সমস্ত ঘটনা স্মরণ করে কালকে রায় দেবেন।
বিজ্ঞাপন
আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভূলুণ্ঠিত করেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, শুধু জুলাই গণহত্যাই শেখ হাসিনা কর্তৃক ঘটিত একমাত্র গণহত্যা নয়। আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করেছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সবচেয়ে বেশি ভূলুণ্ঠিত করেছে আওয়ামী লীগ, শুরু হয়েছে শেখ মুজিব কর্তৃক আর শেষ হয়েছে শেখ হাসিনা কর্তৃক। আমরা দেখেছি একাত্তরের পরে শেখ মুজিব বাংলাদেশের প্রথম স্বৈরাচার হিসেবে আবির্ভূত হন। এরপরে বাংলাদেশের তখনকার রাজনীতিবিদদের ভুলের কারণে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আরও একবার রাজনীতি করার সুযোগ পায়। এরপরে আমরা দেখেছি সুযোগ পাওয়ার ৩০ বছরের মাথায় ক্ষমতায় এসে গত ১৬ বছরে হাজার হাজার মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে।
জাহিদ আহসান বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ একটি ডাইনোসর। আওয়ামী লীগ হারিয়ে গেছে, আওয়ামী লীগকে আর ফিরে পাওয়া যাবে না। ২০০ টাকায় টোকাই দিয়ে ভাড়া করে ককটেল মারলেই রাজনীতি হয় না। যারা দিল্লি চলে গেছে তারা আর কখনো ঢাকাতে আসবে না। বাংলাদেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগের আর কোনো এন্ট্রি হবে না। দিল্লির রাজনীতির কবর গত ৫ আগস্ট হয়ে গেছে, দিল্লির রাজনীতিকে নতুন করে বাংলাদেশে ফেরানো যাবে না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশক্তির সভাপতি তাহমিদ আল-মুদ্দাসসির চৌধুরী বলেন, আওয়ামী রাজনৈতিক ক্যাডাররা পুনরায় সহিংসতার প্রস্তুতি নিচ্ছে। কিছু মহল শেখ হাসিনার অপরাধকে লঘু করে দেখানোর চেষ্টা করছে। তিনি তাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন।
গত ১৬-১৭ বছরে দেশে গুম, খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যা, রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন ও রাজনৈতিক দমন-পীড়নের জন্য আওয়ামী লীগ সরকার দায়ী। এসব ঘটনার সঙ্গে শেখ হাসিনা সরাসরি বা পরোক্ষভাবে যুক্ত এবং এসব অপরাধের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলে জানান সংগঠনটির নেতারা।
এসএআর/এসএসএইচ