চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনায় সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান উপস্থিত থাকায় সভা বর্জন করেছে ছাত্রদল। মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জারুলতলায় এ আলোচনা সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। চবি উপ-উপাচার্যের ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবী হত্যা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে এ সভা বর্জন করা হয়। 

এ সময় ছাত্রদলের নেতাকর্মীদেরকে ‘পাকিস্তানের দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘জাকাত লাগলে জাকাত নে, তবু দায়িত্ব ছাইড়া দে’, ‘রাজাকারের ঠিকানা, এই ক্যাম্পাসে হবে না’, ‘২৫ শামীম খান, ৭১ টিক্কা খান’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।

এ প্রসঙ্গে চাকসুর এজিএস ও চবি ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আয়ুবুর রহমান তৌফিক বলেন, দেশ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী হিসেবে আমরা এই আলোচনা সভা বয়কট করেছি। মুক্তিযুদ্ধ, চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান ও ধর্মীয় অনুভূতির প্রতি সম্মান বজায় রাখাই ছিল আমাদের অঙ্গীকার। কিন্তু উপ-উপাচার্যের বক্তব্যে মুক্তিযোদ্ধাদের অবমাননা করা হয়েছে। নৈতিকভাবে তার এই পদে থাকার কোনো অধিকার নেই। 

প্রসঙ্গত, গত রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সম্মেলন কক্ষে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে চবি উপ-উপাচার্য শামীম উদ্দিন বলেন, ১৬ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণের দিন নির্ধারিত ছিল। তারা (পাকিস্তান সেনাবাহিনী) ফিরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। তারা জীবিত না মৃত অবস্থায় ফিরবে- সে বিষয়ে কোনো নিশ্চয়তা ছিল না। এমন পরিস্থিতিতে পাকিস্তান সেনাবাহিনী বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করবে- এই ধারণা রীতিমতো অবান্তর। এটি একটি আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ। এই দেশকে অন্য একটি দেশের করদরাজ্যে পরিণত করার লক্ষ্যেই বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়েছে।

আতিকুর রহমান/আরএআর