করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে দেশে চলমান কঠোর বিধিনিষেধে ইতোমধ্যে স্থগিত করা হয়েছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) সশরীরে পরীক্ষা গ্রহণের কার্যক্রম। 

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে, সশরীরে পরীক্ষা গ্রহণ করার সুযোগ না থাকায় অনলাইনে মিডটার্ম ও ভাইভা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে। তবে ফাইনাল পরীক্ষা কীভাবে নেওয়া হবে তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দাবি ফাইনাল পরীক্ষাও অনলাইনে গ্রহণ করা হোক। নয়তো সেশনজটে পড়তে হবে বিশ্ববিদ্যালয়কে।

এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইতোমধ্যে জরিপ করেছে শিক্ষার্থীরা। লিংকার ইন বরিশাল ইউনিভার্সিটি নামে ফেসবুক গ্রুপে চালানো জরিপে ২৪ ঘণ্টায় ১০১৪ জন শিক্ষার্থী তাদের মতামত দিয়েছেন। মতামতের ৮৭.৭ শতাংশ শিক্ষার্থী অনলাইনে ফাইনাল পরীক্ষা দিতে ইচ্ছা পোষণ করেন এবং ১২.৩ শতাংশ শিক্ষার্থী অনলাইনে পরীক্ষা গ্রহণের বিপক্ষে মতামত দেন।

করোনার মহামারিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা কীভাবে হওয়া উচিত প্রশ্নে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নাজমুন নাহার ঢাকা পোস্টকে  বলেন, ধারাবাহিক প্যান্ডামিকে আমরা অনেক পিছিয়ে পড়েছি। এখন অনলাইনে হলেও আমাদের পরীক্ষা নিয়ে দ্রুত কোর্স শেষ করা উচিত বলে আমি মনে করি।

তবে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, অনলাইনের পরীক্ষাগ্রহণ হচ্ছে শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে তামাশা করা। অটোপাস পদ্ধতির মতোই একটি মনভোলানো পদ্ধতি। আমরা লকডাউনের সময়েও দেখি অনেক কিছু চলছে। শুধু বন্ধ করে রাখা হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এসব বাদ দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিশ্ববিদ্যালয়ে সশীরে আবারো পরীক্ষা গ্রহণ করা উচিত।

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মুহাম্মদ মুহসীন উদ্দীন ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা গ্রহণের বিষয়ে আমাদের একটি কমিটি রয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে তারা কিছু পরীক্ষা অনলাইনে নেওয়ার সুপারিশ করেছেন। তবে ফাইনাল পরীক্ষা কীভাবে নেওয়া যায়। এ বিষয়ে এখনোও সিদ্ধান্ত হয়নি।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/এমএএস