ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা করোনাকালীন বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকাকালীন আবাসিক ও পরিবহন ফি মওকুফের দাবিতে ছাত্র সমাবেশ করেছে। শনিবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়নের উদ্যোগে প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ কর্মসূচি পালন করে তারা।

তাদের দাবি, ১০ মাস ধরে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা পরিবহন ও আবাসিক সেবা পাননি। তবু ফি নেওয়া হচ্ছে, যা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। এসব ফি মওকুফের দাবি জানান তারা।

ছাত্র ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক ইমানুল সোহানের সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে সংগঠনের নেতাকর্মীরা ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। এ সময় ছাত্র সমাবেশে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সভাপতি নুরুন্নবী সবুজ ও সাধারণ সম্পাদক জিকে সাদিক।

আমি ব্যক্তিগতভাবে শিক্ষার্থীদের এই দাবির যুক্তি আছে বলে বিশ্বাস করি। এ ক্ষেত্রে সরকার ও অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কীভাবে সমন্বয় করে, তা দেখব এবং ফিন্যান্স কমিটিসহ এ সংশ্লিষ্ট কমিটিগুলোর পরবর্তী মিটিংয়ে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব।

শেখ আবদুস সালাম, উপাচার্য, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

বক্তারা বলেন, করোনাকালীন বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকাকালে শিক্ষার্থীদের সেবা বাবদ অর্থও ব্যয় হয়নি। তবু আমাদের কাছে থেকে ফি নেওয়া হচ্ছে। এটা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। একই সঙ্গে আবাসিক হল না খুলে যে পরীক্ষানীতি গ্রহণ করা হয়েছে, তা আরও বিপজ্জনক। পর্যাপ্ত আবাসনব্যবস্থা না থাকায় শিক্ষার্থীদের মেসে গাদাগাদি করে থাকতে হচ্ছে। এতে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়েও শঙ্কা রয়েছে। আমরা আবাসিক সুবিধা নিশ্চিত করে পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। এবং করোনাকালীন বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকাকালীন আবাসিক ও পরিবহন ফি মওকুফের দাবি জানাচ্ছি।

সমাবেশ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামের কাছে স্মারকলিপি দেয় সংগঠনটি। এতে ফি মওকুসহ আবাসিক হল খুলে পরীক্ষা গ্রহণ ও বিভিন্ন কাগজপত্র উত্তোলনে প্রশাসনিক জটিলতা নিরসনের দাবি জানায় তারা।

এ বিষয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শেখ আবদুস সালাম বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে শিক্ষার্থীদের এই দাবির যুক্তি আছে বলে বিশ্বাস করি। এ ক্ষেত্রে সরকার ও অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কীভাবে সমন্বয় করে, তা দেখব এবং ফিন্যান্স কমিটিসহ এ সংশ্লিষ্ট কমিটিগুলোর পরবর্তী মিটিংয়ে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব।

এনএ