মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য এই অমায়িক কথার মর্ম আজকাল খুব একটা অনুধাবন করা যায় না। মানবিক হৃদয়ের মানুষের দেখা পাওয়া যেন, অনেকটা অমাবস্যার চাঁদের মতো। তবে করোনার এ কঠিন সময়েও মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর ব্রত নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে স্মাইল শাটেল নামে একটি সমাজসেবামূলক সংগঠন। এরই ধারাবাহিকতা মঙ্গলবার (২০ জুলাই) রাজধানী ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ জেলার ৩০টি অসহায় পরিবারের হাতে তুলে দিয়েছে এক সপ্তাহের খাবার।

বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া এক ঝাঁক তরুণ তরুণীর নিরলস পরিশ্রমের ফলে গড়ে উঠেছে স্মাইল শাটেল সংগঠনটি। ইতোমধ্যে তারা সফলতার সঙ্গে সম্পন্ন করেছে পাঁচটি প্রজেক্ট। পথ শিশু থেকে শুরু করে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে নিয়ে কাজ করছে এ সংগঠন।

জানা যায়, সম্প্রতি সংগঠনটি 'ঈদ উপহার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ' নামে দুটি বড় প্রজেক্ট সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। এই প্রজেক্টগুলোয় তারা সাহায্য পেয়েছে কানাডার এলডিএফ ফাউন্ডেশনের। ভবিষ্যতেও স্মাইল শাটেলের নবীনদের প্রতি আস্থা রাখবে বলে জানিয়েছে এলডিএফ।

গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে স্মাইল শাটেলের কার্যক্রম শুরু হওয়ার পরে  ‘এক বেলার তৃপ্তি’ নামে তিনটি সফল প্রজেক্ট তারা সুশৃঙ্খলভাবে শেষ করে। এর মূল উদ্দেশ্য ছিল পথশিশু ও অসহায় মানুষকে একবেলা খাবার দেওয়া, করোনার এই সময়ে মাস্ক পরতে উদ্বুদ্ধ করা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে নির্দেশনা দেওয়া।

এছাড়াও, সর্বহারা ও ছিন্নমূল পথশিশুদের হাতেখড়ি কিংবা প্রাথমিক শিক্ষাটুকুও না থাকায় তাদের শিক্ষাদানের কার্যক্রমও হাতে নিয়েছে তারা। সরকারি বিজ্ঞান কলেজের আঙিনায় ভবিষ্যতে পথশিশুদের নিয়ে একটি সাপ্তাহিক স্কুল খোলার বিষয়ে কলেজটির সাবেক শিক্ষার্থীদের একটি কমিটির সঙ্গে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে স্মাইল শাটেল ফাউন্ডেশনের। এখানে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করবে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

সংগঠনটির যুগ্ম আহ্বায়ক ছাবেকুন মোস্তফা ঋতু বলেন, আমাদের স্মাইল শাটেল নিয়ে বেশ কিছু ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা আছে। আমাদের লক্ষ্য প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগের শিক্ষার্থীদের মাঝে স্মাইল শাটেলের ব্রত পোঁছে দেওয়া।

উল্লেখ্য, করোনাকালীন সময়ে গোটা বিশ্ব স্থবির হয়ে পড়লেও ‘স্মাইল শাটেল ও এলডিএফের’ কার্যক্রম থেমে থাকেনি। বিভিন্ন সময়ে নানা ধরনের ভার্চুয়াল অনুষ্ঠান আয়োজনের মধ্য দিয়ে মহামারি সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করেছে সংগঠনটি।

এমটি/এসকেডি