আজকের দিনেও অনেক শিক্ষার্থী পথভ্রষ্ট হয়ে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ছে। বিবেক-বুদ্ধি সম্পন্ন নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা কীভাবে এসব অপশক্তির সঙ্গে জড়িত হয়ে পড়ছে, তা বোধগম্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক।

রোববার (১৫ আগস্ট) রাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

সভাপতির বক্তব্যে ইমদাদুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধু কখনও অন্যায়ের সঙ্গে আপস করেননি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তার ছাত্রত্ব অন্যায়ভাবে বাতিল করলেও তিনি মুচলেকা দেননি। পরবর্তী সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তার ছাত্রত্ব ফেরত দিতে বাধ্য হয়েছিল।

তিনি নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, স্বাধীনতার ইতিহাস সঠিকভাবে জানলে ও চর্চা করলে নতুন প্রজন্ম অপশক্তির কবল থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারবে এবং দেশ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবে। তা হলেই বঙ্গবন্ধুর সত্যিকারের সোনার বাংলা গড়া সম্ভব হবে।

আলোচনা সভায় জবি ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ বলেন, শিক্ষকদের প্রতি বঙ্গবন্ধুর অগাধ শ্রদ্ধাবোধ ছিল। কিন্তু অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা বঙ্গবন্ধুর সঠিক জীবনী নিয়ে আলোচনা করতে চান না। এতে শিক্ষার্থীরা বাঙালি জাতির স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস জানতে পারছে না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে ব্যবসা শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ. কে. এম. মনিরুজ্জামান, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. রবীন্দ্রনাথ মন্ডল, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. অরুণ কুমার গোস্বামী, লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নূরে আলম আব্দুল্লাহ, কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ কামাল হোসেন, কর্মচারী সমিতির সভাপতি এরশাদ মিয়া ও সহায়ক কর্মচারী সমিতির সভাপতি আবু সাঈদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

এ সময় বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষক, প্রক্টর, সহকারী প্রক্টর, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তারা আলোচনা সভায় যুক্ত ছিলেন।

এমটি/এসএসএইচ