জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাককানইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএইচএম মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, কবি নজরুলের লেখনী জাতীয় জীবনে অসাম্প্রদায়িক চেতনা বিকাশে বিরাট ভূমিকা রাখে। সেই চেতনা প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদের অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করে।

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার (২৭ আগস্ট) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের নজরুল ভাস্কর্যে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন শেষে এসব কথা বলেন উপাচার্য।

অধ্যাপক ড. এএইচএম মোস্তাফিজুর রহমান আরও বলেন, তিনি ছিলেন অসাম্প্রদায়িক চেতনার পথিকৃৎ লেখক। তার কবিতা ও গান মানুষকে যুগে যুগে শোষণ ও বঞ্চনা থেকে মুক্তির পথ দেখিয়ে চলছে।

তিনি আরও বলেন, বিদ্রোহী কবির জন্ম না হলে এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হতো না। আর এই বিশ্ববিদ্যালয় না হলে এখানে শিক্ষক-কর্মকর্তা হতে পারতাম না। এই মহান কবিকে যিনি দেশে এনে তাকে নাগরিকত্ব দিয়েছিলেন তিনি আমাদের জাতির পিতা। শুধু তাই নয়, কবি নজরুলকে তিনি জাতীয় কবির সম্মানে ভূষিত করেছিলেন।

এ সময় রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ড. হুমায়ুন কবীর, প্রক্টর ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান, ইন্সটিটিউট অব নজরুল স্টাডিজের অতিরিক্ত পরিচালক রাশেদুল আনাম, শিক্ষক সমিতির সম্পাদক মাসুদ চৌধুরী, কর্মকর্তা পরিষদের সম্পাদক মাহমুদুল আহসান, শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবুসহ উপস্থিত ছিলেন।

জনসংযোগ কর্মকর্তা রেজাউদ্দৌলাহ প্রধান জানান, সকাল ৮টায় পবিত্র কোরআন খতমের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। এর পর পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে বেলা ১১টায় ‘নজরুলের চলচ্চিত্র: চলচ্চিত্রে নজরুল’ শীর্ষক অনলাইন আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিশিষ্ট চলচ্চিত্র গবেষক অনুপম হায়াৎ-এর সভাপতিত্বে বাংলাদেশ ও ভারতের খ্যাতিমান নজরুল গবেষকরা অংশ নেন।

এছাড়াও বিকেল সাড়ে ৫ টায় শুরু হয় ওয়েবিনার ‘নাটকের নজরুল’। প্রফেসর ড. আফসার আহমেদ এতে সভাপতিত্ব করেন। এরপর রাত ৮ টায় শুরু হবে ‘শোকের মাসে স্মরণসভা: নজরুল ও বাংলাদেশ’।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলা একাডেমির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম। সবশেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীত বিভাগের শিক্ষার্থীরা এতে অংশ নেবেন।

উবায়দুল হক/এমএসআর