ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কলাভবনের দক্ষিণ পূর্ব কোণে অবস্থিত পুরনো সেই কৃষ্ণচূড়া গাছটি আর দেখা যাবে না। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নির্দেশে গাছটি কেটে ফেলা হয়েছে।

ক্যাম্পাসের সৌন্দর্যের অন্যতম প্রতীক এই কৃষ্ণচূড়া গাছটি কাটায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা। তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, গাছটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় কেটে ফেলা হয়েছে।

ক্ষোভ প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী মনিরুল ইসলাম বলেন, এই দৃশ্যটি আমাদের জন্য অত্যন্ত ভয়ংকর। এই দৃশ্য দেখে কাঁদব না প্রতিবাদ করব, সে ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। শুধু একটি কথা বলতে চাই, কলাভবনের সামনের এই কৃষ্ণচূড়া গাছ হত্যার বিচার চাই।

মিজানুর রহমান নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, সিদ্ধান্তদাতাকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। ক্যাম্পাসে তাকে ১০০ গাছ লাগাতে হবে।

সজিবুর রহমান নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, একটা গাছ কাটার পরিবর্তে কতটি গাছ রোপণ করেছে ঢাবি কর্তৃপক্ষ! পরিবেশ রক্ষার দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের। অথচ রক্ষার পরিবর্তে ধ্বংসে মেতেছে তারা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী ঢাকা পোস্টকে বলেন, গোঁড়া ক্ষয়ে গাছটি হেলে পড়েছে। জীব বিজ্ঞান অনুষদের ডিনের নেতৃত্বে একটা কমিটির মাধ্যমে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এটা কাটার সিদ্ধান্ত হয়েছে। দুর্ঘটনা ঘটার আগেই সতর্ক এবং নিরাপত্তার কারণে এটা করা হয়েছে। ভবিষ্যতে এখানে আরও গাছ লাগানো হবে।

শিক্ষার্থীদের ক্ষোভের বিষয়ে জানালে তিনি বলেন, এটা ভালো দিক। আমাদের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়কে ভালোবাসে, এটা ভালো। তবে এ গাছ কাটার তো কারণ আছে। শিক্ষার্থীদের জীবনের নিরাপত্তার দিকেও তো আমাদের খেয়াল রাখতে হবে।

এইচআর/এমএইচএস