মহামারির কারণে এবার হল বন্ধ রেখে ভর্তি পরীক্ষার আয়োজন করতে যাচ্ছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। পরীক্ষার দিন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে ভর্তিচ্ছু ও তাদের অবিভাবকদের আবাসন নিয়ে উৎকণ্ঠা বাড়ছে। 

জানা গেছে, প্রতিদিন অন্তত ২৫ হাজার ভর্তিচ্ছুর আবাসনের ব্যবস্থা করা যাবে নগরের মেসগুলোতে। কিন্তু প্রতিদিন শুধু ভর্তিচ্ছু আছেন ৪৫ হাজারের মতো। সেইসঙ্গে রয়েছেন তাদের অভিভাবকরা। ফলে আবাসন নিয়ে উৎকণ্ঠা থেকেই যাচ্ছে।  

এবার রাবির ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি অনুযায়ী, ৪ অক্টোবর সি ইউনিটের পরীক্ষার মধ্যদিয়ে শুরু হবে ভর্তিযুদ্ধ। প্রতিদিন তিন শিফটে সকাল সাড়ে ৯ থেকে সাড়ে ১০টা; দুপুর ১২টা থেকে ১টা এবং বিকেল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত পরীক্ষা নেওয়া হবে। সে হিসেবে প্রতিদিনই তিন শিফটে পরীক্ষায় বসবে ১৫ হাজার করে মোট ৪৫ হাজার ভর্তিচ্ছু।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়, ভর্তিচ্ছুদের সঙ্গে তাদের অবিভাবকরাও এসে থাকেন। সেক্ষেত্রে ২৫ হাজার বা ৭০ শতাংশের আবাসন  সমাধান ভর্তি পরীক্ষার মহাযজ্ঞ সামলাতে কতটা কার্যকর হবে সে নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। মেসগুলোর বাইরেও ভর্তিচ্ছুদের রাখতে বিচ্ছিন্ন কিছু পদক্ষেপের ঘোষণা দিয়েছে প্রশাসন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক তারেক নূর ঢাকা পোস্টকে বলেন, নগরীর হোটেলগুলোতে পাঁচ হাজারের মতো শিক্ষার্থী ও অবিভাবকের থাকার ব্যবস্থা করা যাবে। এর বাইরে শহরের স্কুল বা কলেজের হোস্টেলগুলো ব্যবহার করতে কাজ করে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। 

তবে স্টেডিয়াম বা জিমনেসিয়ামের মতো খোলা জায়গাগুলোতে ভর্তিচ্ছুদের রাখার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। মেস আর আবাসিক হোটেলগুলো মিলে ৩০ হাজারের মতো শিক্ষার্থীর আবাসন হলেও সমীকরণ মিলছে না বাকি ১৫ হাজারের। তবে সংকট নিরসনে কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিরা।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় আর নগর প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মেস মালিক সমিতি। 

মহানগর মেস মালিক সমিতির সভাপতি এনায়েতুর রহমান বলেছেন, বিভিন্ন ছাত্রাবাসে প্রায় ২৫ হাজার শিক্ষার্থীর আবাসনের ব্যবস্থা করা সম্ভব হবে। ছাত্রাবাসে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীকে সম্পূর্ণ ফ্রি রাখা হবে।

তবে সম্পূর্ণ ফ্রি রাখার ঘোষণার পাশাপাশি একটা অস্পষ্ট চার্জ ঘোষণা করে রেখেছেন তারা। যেখানে বলা হচ্ছে, মেসের বর্ডাররা জনপ্রতি মাত্র একজন ভর্তিচ্ছুকে রাখতে পারবেন। এর বাইরে প্রতিজন ভর্তিচ্ছুর জন্য ২০০ টাকা করে গুণতে হবে। আবার ভর্তিচ্ছু আর অবিভাবকদের জন্য ২০০-৫০০ টাকার রাত প্রতি প্যাকেজ দিয়ে রেখেছেন মেস মালিকরা।

তবে বেশ কিছু শিক্ষার্থী অভিযোগ করেছেন এসব সিদ্ধান্ত এড়িয়ে বর্ডার ছাড়া যেই আসুক ৩০০ টাকা দিতেই হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন মেস মালিকরা। এ শর্ত মানিয়ে নিতে অতিথি প্রবেশ করতে না দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। 

অভিযোগের বিষয়ে মহানগর মেস মালিক সমিতির সভাপতি এনায়েতুর রহমান বলেন, কাজ শেষ করে আমরা বের হবো। কথাবার্তা বলে আমরা এগুলো দেখছি।

এসপি